তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বরিশালে ৫০ শতাংশের বেশি আর খুলনায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট কাস্ট হওয়ায় প্রমাণ হয়েছে, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও জনগণ ভোট বর্জন করে নাই। আমি মনে করি, এ থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শিবুকান্তি দাশ রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস ‘মিলিটারি এলো গ্রামে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সোমবার (১২ জুন) অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ নির্বিঘ্নে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট দিয়েছে। বিএনপি ভোট বর্জন করেছে, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে, তাদের দলীয় কর্মীদের ভোটে অংশগ্রহণ করতেও নিষেধ করেছে। কিন্তু তাদের নেতাকর্মীরা দুটি সিটি করপোরেশনেই প্রার্থী হয়েছে। জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি, নিজ বিবেচনায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ভবিষ্যতেও যদি বিএনপি ভোট বর্জন করে জনগণ কিন্তু ব্যাপকভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পার্টির বরিশাল ও খুলনায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান ও রাজশাহী-সিলেটে সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ইসলামী আন্দোলন দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। কিন্তু দুই সিটি করপোরেশনেই বিজয়ীরা তাদের চেয়ে প্রায় তিনগুণ ভোট পেয়েছে। এতে তারা বুঝতে পেরেছে যে আগামী নির্বাচনেও তাদের কোনো ভরসা নাই। এ জন্য আগেভাগেই পাততাড়ি গুটিয়ে পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই হয়তো তারা সেই ঘোষণা দিয়েছে। বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীকে পেছন থেকে একজন ঘুষি মারার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, যে বা যারাই এটি করেছে সেটি নির্বাচন কমিশন তদন্ত করছে, প্রশাসন তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সবকিছু ছাপিয়ে সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক যে, অত্যন্ত সুন্দর শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন