কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচন ছাড়া অন্য বিষয়ে সরকারের আগ্রহ সন্দেহজনক : গয়েশ্বর 

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘স্বাধীন বাংলা মাদকবিরোধী কল্যাণ সোসাইটি’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি : কালবেলা
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘স্বাধীন বাংলা মাদকবিরোধী কল্যাণ সোসাইটি’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি : কালবেলা

একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার পরিবর্তে অন্য বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বেশি আগ্রহ প্রকাশ করাটা সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘স্বাধীন বাংলা মাদকবিরোধী কল্যাণ সোসাইটি’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর রায় বলেন, ১৭ বছর ধরে মানুষ ভোটাধিকার ও স্বাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য রক্ত দিয়েছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া ছাড়া বর্তমান সরকারের অন্য কিছুতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করা সন্দেহজনক। জনগণের মধ্যে এখন এক ধরনের অবিশ্বাস ও অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ষড়যন্ত্র থাকবে, এটা রাজনীতিরই চরিত্র। রাজনৈতিক সমাধান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া ভালো।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ কখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। জনগণ কিন্তু আমাদের চাইতে বেশি বুঝে। এখন জনগণ কী চাইছে, সেটা অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে চাইছে না। দেশের তরুণ সমাজ কেনো বিদেশে পাড়ি দিতে চায়? কারণ আমরা দেশটাকে বসবাসের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারিনি। দেশে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। অথচ এটা জনগণের মৌলিক অধিকার।

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, একবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের ডেকে নিয়েছিলেন। আমরা গিয়ে দেখি তিনি অস্থিরভাবে পায়চারি করছেন। তখন আমরা জিজ্ঞেস করলাম আপনার কী হয়েছে? তিনি বললেন, বলো তো আমার পরিবারের লোকসংখ্যা কয়জন? তখন আমরা বললাম- আপনি, ম্যাডাম আর দুই ছেলে। আপনি কী তাদের নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন? তখন জিয়াউর রহমান বললেন, আমার পরিবার এতোটা ছোট হলে তো আর চিন্তা করতাম না। কারণ, আমার পরিবারের লোকসংখ্যা হলো ১০ কোটি। সেখান থেকেই আমরা বুঝতে পারি যে, তিনি দেশের মানুষকে নিজের পরিবারের মানুষ হিসেবে মনে করতেন, তাদের নিয়ে ভাবতেন, চিন্তা করতেন।

গয়েশ্বর আরও বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটা নিয়ে সমালোচনা করার কিছু নেই। আমরাও যে ৩১ দফা দিয়েছি, সেটাও যে ৩১ দিনেই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে, তা নয়। কিন্তু সে সংস্কারের সূচনা তো করতে হবে। কোনো কাজ যদি শুরু করা হয়, তার শেষ করার লোক কিন্তু চলে আসবে। এক সরকার আসবে, আরেক সরকার যাবে-এটাই নিয়ম। তাই বলে কাজ আগাবে না, তার তো কোনো যৌক্তিকতা নেই।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, স্বাধীন বাংলা মাদকবিরোধী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেলিম নিজামী, সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ টানা ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়  

নরসিংদী-৫ আসনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর তরুণ নেতা রুহেল

০৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

খুলনায় বিএনপি অফিসে গুলি-বোমা হামলা, নিহত ১

ভিউ বাড়াতে রাম দা হাতে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট শিক্ষকের

বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল : আমির খসরু

নিকোটিন পাউচ উৎপাদনের অনুমোদনে বিটিসিএ’র উদ্বেগ

ক্লাসিকোর দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়াল বার্সা

সন্দ্বীপে ধানের শীষের প্রচারণায় উপচেপড়া লোকসমাগম

হলান্ডের জোড়া গোলে জয়ে ফিরল ম্যানসিটি

১০

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

১১

আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির

১২

‘অর্থ নয়, আত্মতৃপ্তিই চিকিৎসার আসল প্রাপ্তি’

১৩

প্রোটিয়াদের হারিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল ভারত

১৪

নেত্রকোনা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

১৫

দুটি দল বাংলাদেশের রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র করছে : জুয়েল

১৬

দাঙ্গা-ফ্যাসাদে না জড়াতে কর্মীদের কঠোর নির্দেশনা সেলিমুজ্জামানের 

১৭

ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো অক্ষুণ্ণ রাখার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ডাকসুর প্রতিবাদ

১৮

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

১৯

রাজধানীতে বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৪

২০
X