গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বন্ধুহীন ও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হামলা-মামলা, দমনপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু এভাবে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। তাদের বিদায় নিতেই হবে।
আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তারা। সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঞ্চের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে কূটনৈতিক শিষ্টাচার, নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে বক্তব্য দিচ্ছেন- তাতে বোঝা যায়, এই সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এই সরকারের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে। আগামী মাসের মধ্যে এদের যেতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে আজকে দলীয়করণ করা হয়েছে। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো ছাড়া দেশকে রক্ষা করা যাবে না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতায় বলেছেন- তিনি জানেন না বিরোধী দল কেন তার পদত্যাগ চায়। গত ১৫ বছর ধরে দেশে একটা লুটপাট শ্রেণি তৈরি করে একটি মাফিয়া শাসন কায়েম করা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি না পেলে দেশের ভবিষ্যৎ অকল্পনীয় দুর্দশার মধ্যে পতিত হতে পারে। কাজেই এই সরকারকে যতদ্রুত ক্ষমতা থেকে হটানো যাবে ততই মঙ্গল।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, বিচার বিভাগকে পুলিশের থেকেও বেশি করে দলীয়করণ করা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সংবিধান ও শাসনব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে বিরোধী নেতাদের দমনপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। আবু ইউসুফ সেলিমকে যেভাবে ঐশ্বরিক মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে- এইভাবে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। তিনি অবিলম্বে সেলিমের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
শেখ বাবলু বলেন, সরকার ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় থাকার প্রয়াস চালাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এবার আর কোনো ছলচাতুরির নির্বাচন করতে পারবে না।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুর সঞ্চালনায় সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেলসহ মঞ্চের অন্য নেতারা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন