ক্ষমতাসীন সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার আবারও একটি পাতানো নির্বাচন করতেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। কারণ তারা ভয় পায়।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দ।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল মনসুর খান দীপকের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ইয়াছিন আলী ও ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, যুবদলের কামরুজ্জামান জুয়েল, ওলামা দলের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলাল খান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি রুহুল কবির রিজভী আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ায় ফেরার পথে ব্যাপক যানজটের কারণে মানববন্ধনে উপস্থিত হতে পারেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বক্তব্য দেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ সরকার চায় অপেক্ষাকৃত বিএনপির তরুণ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি রাখতে। কারণ সরকার চায়, আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে। অথচ অনেক নেতা জামিনে আছেন। তাদের নো অ্যারেস্ট, নো হ্যারেজ করতে আদালতের নির্দেশ আছে। কিন্তু সরকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে।
‘বিদেশিদের চাপে সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মাথানত করবে না’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, আসলে বিদেশিদের সোচ্চার কণ্ঠকেও তারা চাপ মনে করেন না। আরও একটি পাতানো নির্বাচন করতেই গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীকে বন্দি রেখেছে। যাতে ক্ষমতায় থেকে অবাধে দুর্নীতি করতে পারে, জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করা যায়, তাদের পরিবার যেন সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পেয়ে নেতাকর্মীকে আটক রেখেছে।
বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু বলেন, আমাদের জেল-জুলুমের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। জিয়াউর রহমানের সৈনিকরা এসব ভয় পায় না। হাসিনা সরকারের সময় শেষ। তার পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। পশ্চিমা বিশ্ব তাদের লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। সুতরাং সরকারকে বাংলাদেশের মাটি থেকে যেতে হবে। তার অধীনে কখনোই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।
নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেন, বর্তমান সরকার এস এম জাহাঙ্গীরকে যে অপরাধে আটক করেছে, সেগুলো কিন্তু তারাই করছে। তারা অহরহ তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। তারা আমাদের গ্রেপ্তার করে করাগারে নিয়ে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করছে। সুতরাং আইন তো সরকার নিজেই ভঙ্গ করেছে।
মন্তব্য করুন