মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজার নামাজ ঢাকায় করতে না দেওয়া, সারাদেশে গায়েবানা জানাজায় হামলা গ্রেপ্তার এবং কক্সবাজারের চকরিয়ায় জামায়াত কর্মী ফোরকান উদ্দিনকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর কাওরান বাজার থেকে শুরু হয়ে পান্থপথ হয়ে গ্রিনরোডে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, মাওলানা আবু সাদিক, আব্দুস সালাম, কামরুল আহসান, আমিনুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি তাকরিম হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ঢাকা কলেজের সভাপতিসহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন থানা আমীর-সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একটি বিপ্লবের নাম, একটি আন্দোলন, একটি ইতিহাস। ইসলামের প্রচার প্রসার, দেশের সত্যিকার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং মজলুম মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে তিনি আমৃত্যু লড়াই সংগ্রাম করেছেন। দুনিয়ার লালসা, বাতিলের রক্তচক্ষু, সরকারের জেল জুলুম নির্যাতন এমনকি ফাঁসির মঞ্চ তাকে অভিষ্ঠ লক্ষ্য থেকে চুল পরিমাণ সরাতে পারেনি। দুই বারের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য সাঈদীর চিকিৎসার জন্য কোনো মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়নি, হার্ট অ্যাটাকের রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা পিসিআইও করা হয়নি। এমনকি তার পরিবারের সদস্যদেরও দেখতে দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ শতাব্দীর জঘন্যতম মিথ্যাচার। সাজানো নাটকে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুর পরও সরকার তার লাশ নিয়ে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির অবতারণা করে। পরিবারের হাতে লাশ হস্তান্তর না করে, পরিবারের সদস্যদের লাশ দেখতে না দিয়ে ও পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী ঢাকায় কোনো জানাজা না করতে দিয়েই পিরোজপুর কফিন নিয়ে যায়। সেখানেও বিদেশে অবস্থানরত তার সন্তানদের জন্য অপেক্ষা না করেই তাড়াতাড়ি জানাজা করে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করে।
অপরদিকে সারাদেশে সাঈদীর গায়েবানা জানাজায় হামলা করে অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করে এবং গুলি চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে আহত করার পাশাপাশি জামায়াত কর্মী ফোরকান উদ্দিনকে হত্যা করে। আমরা সরকারের এই অন্যায় আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজার নামাজ রাজধানীতে পড়তে না দেওয়ার ক্ষোভ সরকার পতনের আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করবে, বলেন তিনি।
মন্তব্য করুন