বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগের ‘কথা ও কাজে’ মিল নেই’।
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি সঙ্গে বৈঠেকের পর সেতুমন্ত্রী ওবায়দুর কাদের যে বক্তব্য রেখেছেন তার জবাবে আজ শুক্রবার সকালে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি বলেন, অত্যন্ত চমৎকার। কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে যে কথা ও কাজে যদি মিল না থাকে সেই কথার কোনো দাম নেই। আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ হয়েছে এই কথা প্রমাণ করতে তাদের কথায় এবং কাজে মিল আছে। তাদের কথা এবং কাজে মিল থাকুক, তারা গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করুক, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবলমাত্র একক ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে.. সেই প্রক্রিয়ায় তারা ফিরে আসুক… নিশ্চয় এই দেশের মঙ্গল হবে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের কাছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সেখানে বিএনপির মতো বড় দল আসুক, সেটাই চাই। কারণ নির্বাচনটা যত প্রতিযোগিতামূলক হবে, তত দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা আমাদের সেই ইচ্ছাটা বলেছি যে, আমরা একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করতে চাই। যেটা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হবে। এটা আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলেছি।
ড. আবদুল মঈন বলেন, আপনারা দেখেছেন ২০১৮ সালে আমরা বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। সেখানে কি বলা হয়েছিল, সেখানে বলা হয়েছিল যে, আপনারা নির্বাচনে আসুন আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দেব। আমরা সেই কথা বিশ্বাস করেছিলাম, নির্বাচনে এসেছিলাম। পরবর্তিতে আপনারা দেখেছেন অনরেকর্ড সেই নির্বাচনী প্রচারণা যেদিন শুরু হয় প্রথম দিন থেকে আমার উপরে আমার মিছিল আক্রমণ করা হয়েছে, মহাসচিবেরর মিছিলে আক্রমন করা হয়েছিল, সারা বাংলাদেশে আমাদের ওপরে আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই আক্রমণ নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত চলেছিল।
তিনি বলেন, এটা অনরেকর্ড আমরা ইলেকশন কমিশনের লিখিত বক্তব্য দিয়েছি সেগুলো আপনারা দেখেছেন। কাজেই পরবর্তিতে আপনারা দেখেছেন যে, নির্বাচন এমন একটি হয়েছে যেখানে বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভোট দেয় নাই। সেখানে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, ভোট দিয়েছে চারটি কমিউস্টারের বার্টন। আমি ব্যাখ্যা করে দিচ্ছি… একটি বার্টন হচ্ছে ডিসি, একটি বার্টন হচ্ছে এসপি, একটি বার্টন হচ্ছে টিএনও এবং চতুর্থ বার্টনটি হচ্ছে উপজেলার ওসি। ঢাকা থেকে… নির্বাচনের ফলাফলের সিট নির্বাচনী তিনশ এলাকায় বের হয়ে এসেছে সেটাই হয়েছে সেই নির্বাচনে।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১১টায় সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এই সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীনসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন