বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলন চলছে। দেশের মানুষ ইতোমধ্যে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। ক্রমেই তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। সুতরাং এই সরকারের পতন অতি সন্নিকটে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর পল্টনের একটি হোটেলে বাংলাদেশ এলডিপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচনের পায়তারা করছে। কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে, তারা আর এ ধরনের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বাংলাদেশ এলডিপির নেতাকর্মীরা দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবে।
সভায় বাংলাদেশ এলডিপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদল ও বাংলাদেশ এলডিপি মহিলা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ এলডিপি ঢাকা মহানগর উত্তরে ফরিদ আমিনকে আহবায়ক ও এতাশেমুল হক পিন্টুকে সদস্য সচিব, মহানগর দক্ষিণে মো. রাশেদুল হককে আহবায়ক ও ইব্রাহিম খলিল শুভকে সদস্য সচিব, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলে মোহাম্মদ ফয়সলকে আহ্বায়ক ও সৈয়দ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান পিন্টুকে সদস্য সচিব এবং বাংলাদেশ এলডিপি মহিলা দলে নীলা শেখকে আহ্বায়ক ও ফাতেমা আক্তার ঝুমাকে সদস্য সচিব করা হয়।
সভার শেষদিকে এনপিপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আব্দুল গনি ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ এলডিপিতে যোগদান করেন।
যোগদানকরা নেতাকর্মীদের বাংলাদেশ এলডিপিতে স্বাগত জানিয়ে শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এর ফলে বাংলাদেশ এলডিপি সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে। সরকারবিরোধী চলমান যুগপৎ আন্দোলনে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়বে। এতে করে আন্দোলন আরও বেগবান হবে।
উল্লেখ্য, সরকারবিরোধী চলমান যুগপৎ আন্দোলনে ‘বাংলাদেশ এলডিপি’ ১২ দলীয় জোটে রয়েছে। বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মো. আব্দুল গনির সভাপতিত্বে এবং যুববিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সলের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম রওনক, অতিরিক্ত মহাসচিব মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন টিটু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এমএ বাশার, যুগ্ম মহাসচিব এস এম মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী রাজু, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক কাজী শফিকুল ইসলাম সুমন প্রমুখ নেতারা।
মন্তব্য করুন