সরকারের সঙ্গে জনগণ নেই বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আজকে তারা নাকি শান্তি সমাবেশ করছে, দেখবেন কোনো লোকজন নেই। আমাদের পদযাত্রায় যত লোক হয় তার অর্ধেকও ওদের সভায় যায় না। তারা আজকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যা খুশি তাই করছে। সবকিছুকে তছনছ করে দিচ্ছে। কিন্তু আপনারা যা কিছুই করেন না কেন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।’
রাজধানীর আজিমপুরে আজ শুক্রবার বিকেলে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশব্যাপী অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে আজিমপুরস্থ স্যার সলিমুল্লাহ এতিমখানার সামনে থেকে শুরু হয়ে আরমানীটোলা মাঠ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
মির্জা আব্বাস ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে বলেন, আজকে বাংলাদেশ নিয়ে গোটা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ নিয়ে এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। বাংলাদেশের মানুষ আজকে গ্যাস-বিদ্যুতের উচ্চমূল্যের কারণে দিশেহারা। পানি নিয়ে হাহাকার পড়ে গেছে। আজকে বিদ্যুৎ খাতে কুইক রেন্টালের নামে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকার ও কথা বলার অধিকার এবং স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার চাচ্ছে। আজকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে কথা বলছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।
বাংলার মানুষ যেনতেন নির্বাচন বারবার মেনে নেবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে।
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকনের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক মীর সরফত আলী সপু, যুববিষয়ক সহসম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ওলামা দলের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, সাবেক কাউন্সিলর মীর আশরাফ আলী আযম, মহানগর বিএনপির নবীউল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন, নাদিম, নাদিয়া পাঠান পাপন, মহিলা দলের রুমা আক্তারসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। আমাদের বলে বিএনপির কোমর ভেঙে গেছে। পুলিশ আর র্যাব ছাড়া আসুন, ক্ষমতা ছেড়ে আমাদের কাতারে আসেন। তাহলেই দেখা যাবে কার কোমর ভেঙে গেছে। আসলে এই সরকার দেশ থেকে এমন লুটপাট করেছে যে জনগণ তাদের আর এক মুহূর্ত ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সুতরাং এখনো সময় আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নিন।
ঢাকা মহানগর উত্তর, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরেও এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন