বাংলাদেশে গণতন্ত্রের দুর্ভাগ্য, অবাধ নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (০৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জুলাইয়ের আত্মত্যাগ ছিল গণতন্ত্র অবমুক্ত করার। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্রের দুর্ভাগ্য, অবাধ নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি হয়। ক্ষমতায় আসলেই সবাই তা চিরস্থায়ী করতে চান। অন্তর্বর্তী সরকারও এ ধারায় পড়েছে কিনা তাই প্রশ্ন। সবার সমর্থন পেয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তারপরও টানাপোড়েনে রয়েছে গণতন্ত্র।
তিনি বলেন, আগামী বছরের এপ্রিল মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে রমজান মাসের সঙ্গে প্রচার কার্যক্রমের সময়কাল মিলে যাবে, যা জনসাধারণের জন্য ভোগান্তির কারণ হবে। তাই জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায়, সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
এদিকে দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করার সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, কাদের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কাদের জন্য সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে? এতে লাভবান কারা হচ্ছে? তাহলে আগামী নির্বাচনও কি যারা আছে, তারা প্রভাবিত করে তাদের দিকে নিয়ে যাবে বা তাদের মতো করে নির্বাচন করবে?
তিনি বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় এবং এ বিষয়ে একটি ঐকমত্য প্রায় গঠিত। বিচারিক কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং তা স্বাভাবিক গতিতেই চলবে- সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। যখন এই বিষয়গুলো স্পষ্ট, তখন হঠাৎ করে নির্বাচন এপ্রিলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এর আগেই- সেপ্টেম্বর, অক্টোবর কিংবা নভেম্বরেও নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, নানা দিক বিবেচনা করেই সবাই মিলে ডিসেম্বরকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য যৌক্তিক সময় হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন। কারণ, এরপরই শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস, যেখানে নির্বাচন পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে। তার পরপরই রয়েছে পাবলিক পরীক্ষা, বৈরী আবহাওয়া ও কালবৈশাখীর মতো নানা প্রতিবন্ধকতা। এসব কারণে এপ্রিলে নির্বাচন করার প্রস্তাবের পেছনে বাস্তব কারণ কী- তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।
মন্তব্য করুন