সম্প্রতি বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নামে এক ভুয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নাম উল্লেখ করে একটি সতর্কীকরণ নোটিশ প্রকাশ করা হয়। তবে দলটির পক্ষ থেকে এ নোটিশের সত্যতা নেই বলে জানানো হয়েছে।
ওই ভুয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, বিএনপি ও দলের অনুমোদিত ১১টি সংগঠন ছাড়া অন্য কোনো সংগঠন অনুমোদিত নয় এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, জিয়া পরিবার ও তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে সংগঠন গঠনের অভিযোগও উত্থাপন করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, অনুমোদনহীন এসব সংগঠন বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে এবং এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়।
তবে এ বিষয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী কালবেলাকে বলেন, ‘অনেক আগে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে ভুয়া সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রেস রিলিজ দিয়েছিলাম, এটি সেটি তবে নতুন করে তারিখ ও আমার স্বাক্ষর এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দিয়েছে, যেটি ভুয়া।’
তথ্য মোতাবেক দেখা যায়, ২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবরের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ কোনো সংগঠন করলে এর সাথে দলের কোনো সম্পর্ক থাকবে না, দলের কোনো নেতাকর্মী যদি ভুঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারে যায়, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনিব্যবস্থাও নেয়া হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, দলের স্বীকৃত অঙ্গসংগঠনের বাইরে শিক্ষকদের সংগঠন, ডাক্তারদের সংগঠন ড্যাব, ইঞ্জিনিয়ার ও কৃষিবিদদের সংগঠন অ্যাব, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আছে। এর বাইরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয়তাবাদী নামের কোনো সংগঠন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গতকাল শনিবার (৫ জুলাই) দেওয়া ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, বিএনপি ও দলের অনুমোদিত ১১টি সংগঠন ব্যতীত অন্য কোনো সংগঠন অনুমোদিত নয় এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, জিয়া পরিবার ও তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে সংগঠন গঠনের অভিযোগও উত্থাপন করা হয়। এতে আরো বলা হয়, অনুমোদনহীন এসব সংগঠন বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে এবং এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে আইডিতে ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তিটি শেয়ার হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দলের পক্ষ থেকে সবাইকে বিভ্রান্ত না হতে এবং যাচাই-বাছাই করে তথ্য প্রচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত বিএনপির ১১টি অনুমোদিত অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন হলো— ১. জাতীয়তাবাদী যুবদল ২. জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ৩. জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ৪. জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ৫. জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ৬. জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ৭. জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ৮. জাতীয়তাবাদী ওলামা দল ৯. জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল ১০. জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল ১১. জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)
মন্তব্য করুন