যারা ১৯৯২ ও ৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন তারা বিভিন্ন কারণে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশ নেওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী। তাই একবারের জন্য হলেও তাদের সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন এই রাজনীতিবিদ।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা বলেন তিনি। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী চাকরিতে আবেদন প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত ‘৩ বছর করোনায় বঞ্চিত, ব্যাকডেট বঞ্চিত, ৩২ বঞ্চিত জেনারেশনদের চাকরিতে আবেদনের সুযোগ প্রদান’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে তারা সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ঠিকঠাক অংশ নিতে পারেননি। এছাড়া যখন সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩২-এ উন্নীত করা হয়েছে তার সুযোগও তারা পাননি। ফলে তারা চাকরির পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। জোনায়েদ সাকি বলেন, ৯২ থেকে ৯৩ সালে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা বঞ্চনার শিকার। কারণ তারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ঠিকঠাকভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। সুতরাং বিষয়টি সরকারের মানবিকভাবে বিবেচনা করা উচিত। সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেওয়া উচিত, যাতে এই পরীক্ষার্থীরা অন্তত একবার হলেও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত সংস্কার কমিটি সম্প্রতি সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার সুপারিশ করেছে। এসব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সময় প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময়সীমায় তা কঠিন হয়ে ওঠে।
জোনায়েদ সাকী বলেন, এই জুলাই মাসের আন্দোলন কিন্তু মূলত চাকরির দাবিকে কেন্দ্র করেই সংগঠিত হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনই বর্তমান উত্তাল পরিস্থিতির সূচনা করেছে। তাছাড়া আমরা তরুণদের জন্য উদ্যোক্তামুখী পরিবেশ গড়ে তুলতে পারিনি। তাই সরকারি চাকরিতে এখনো তরুণদের সুযোগটা বাড়ানো উচিত। তরুণরা ঠিকমতো চাকরি না পেলে বেকারের সংখ্যা বাড়বে, তাতে সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে চাকরির আবেদন প্রত্যাশীরা ৩ বছর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত, ব্যাকডেট বঞ্চিত, ৩২ বঞ্চিত, সেশনজটসহ বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি জেনারেশনকে সংবিধানের ২৮(৪) এবং ২৯(৩, ৪) নং ধারা বলে অন্তত করোনাকালীন সময়টা চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান। এসব দাবিতে তারা গত শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
মন্তব্য করুন