বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদান ও পরবর্তী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণের অভিযোগ উঠেছে সাভারের আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদনহীন তিনটি বিষয়- সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোলে পাঠদান চালিয়ে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ১৮৬ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করেছে। এমন অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছে ১৮৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার (১৪ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবির উদ্বেগ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার সম্পূর্ণ দায় কলেজ প্রশাসনের ওপর বর্তাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, কলেজটির উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোল বিষয়গুলোতে পাঠদানের অনুমোদন ছিল না। অথচ প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদিত অন্য তিনটি বিষয়ের তথ্য দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে নেয়। একই সঙ্গে পরীক্ষা শুরুর আগে বিষয় সংক্রান্ত কোনো অসামঞ্জস্য বা বিভ্রান্তির বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। বাধ্যতামূলক পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গত ৯ জুলাই কলেজ কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে বোর্ডে যোগাযোগ করে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র সংশোধনের অনুরোধ জানায়।
তবে ততক্ষণে বোর্ড কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত প্রশ্নপত্রগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে। ফলে প্রযুক্তিগত বা প্রশাসনিক দিক থেকে পরিবর্তনের কোনো সুযোগ ছিল না বলেও বোর্ড সূত্র জানিয়েছে।
বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন আরও ছয়টি কলেজে অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। তবে সেসব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কম- সবমিলিয়ে ২২ জন। অন্যদিকে আশুলিয়া কলেজেই ১৮৬ শিক্ষার্থীর বিষয়ে অনিয়ম হয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে অনেক বড় মাত্রার।
বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য শতভাগ দায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনিয়মকে প্রশ্রয় দিলে শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে এবং এক ধরনের নেতিবাচক উদাহরণ সৃষ্টি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন