কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত : হেফাজতে ইসলাম

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সোমবার (১৪ জুলাই) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এক বিবৃতিতে বলা হয়- সম্প্রতি উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে পতিতাদের ‘মর্যাদা ও স্বীকৃতিস্বরূপ’ ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। যৌনকর্মী ও সমকামী ট্রান্সজেন্ডারদের পক্ষে কাজ করা ‘নারীপক্ষ’ নামে একটি বিতর্কিত এনজিও সংস্থার হাতে এই আর্থিক প্রণোদনা তুলে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠনের আমীর মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান বলেন, পতিতাদের উপযুক্ত পুনর্বাসনের পরিবর্তে তাদের নিছক খুশি করতে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা প্রদান বাংলাদেশের আবহমানকালের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের অংশ। তাছাড়া পতিতাবৃত্তির নেপথ্যে অবাধ নারী-শিশু পাচার, কর্মসংস্থানের অভাব, নৈতিক অবক্ষয় ও আর্থসামাজিক সঙ্কটগুলো মূল কারণ। ফলে তাদের পুনর্বাসন ব্যতীত এ ধরনের প্রণোদনা বিদ্যমান সঙ্কটগুলোকে আরও ঘণীভূত করবে। আর পতিতাবৃত্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার মানে নারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘যৌনপণ্য’ বা ‘যৌনদাস’-এ পরিণত করার শামিল। পতিতাবৃত্তি কোনো নারীর জন্য সম্মানজনক ও মানবিক ঘটনা নয়। এটি রাষ্ট্রের ব্যর্থতার ফসল হিসেবে তাদের আর্থসামাজিক দুর্ভাগ্য মাত্র।

নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা মনে করি, এদেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে গিয়ে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা ও এনজিওকর্মী শারমিন মুরশিদ পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছেন। হাজার হাজার মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ঢালাও অপপ্রচার চালিয়েছেন। তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়নি। দেড় সহস্রাধিক শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি এদেশের আলেমসমাজ ও ধর্মপ্রাণ জনগণ মেনে নেবেন না।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, ইউনূস সরকারের উচিত এনজিও-ফাঁদ থেকে বের হয়ে রাষ্ট্রকে আরো শক্তিশালী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। জনগণের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ, মানবিক অধিকার রক্ষা ও সামাজিক সমস্যা নিরসনের মূল দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হয় সরকারকে। এতে সরকার ব্যর্থ হলেই এনজিও-ব্যবসা রমরমা হয়ে ওঠে। উন্নত শোষক পশ্চিমা দেশগুলো একদিকে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে দিতে চায় না; তাদের ওপর সবসময় নির্ভরশীল করে রাখতে চায়। আবার অন্যদিকে এনজিওর মাধ্যমে সেসব দেশে ফান্ড দিয়ে ত্রাতা সেজে তাদের নানা এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। ফলে সমস্যা আর সঙ্কটের অবসান কখনো ঘটে না। এটাও তাদের এক ধরনের উপনিবেশিক ফাঁদ। এতে বড়জোর কিছু এলিট নারীবাদী ও এনজিওকর্মীর আর্থিক সুবিধা ঘটে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ বন্ধ, ভোগান্তিতে ৪২ হাজার গ্রাহক

শিক্ষানীতি মানছেন না সিদ্ধিরগঞ্জের ৪ শিক্ষক

অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ, ভয়ে পালালেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

সিভাসুতে তিন কর্মকর্তার পদাবনতি

দেশের শত্রুরাই পিআর নির্বাচনের বিরোধিতা করতে পারে : চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা, দুটিতে লড়বেন ফয়জুল করীম

দুই সন্তানসহ গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, দেবর নিখোঁজ

ওয়ার্ডপ্রেস কন্ট্রিবিউশনের গর্বিত মুখ বাংলাদেশের নাসিম

বরিশালে এনসিপির পদযাত্র‍ায় ২০ সহস্রাধিক জনতার জমায়াতের প্রস্তুতি

১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে নতুন করে লেখালেন স্টার্ক

১০

মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সময় ৯৬ বাংলাদেশি আটক

১১

চেয়ারে শহীদদের স্বজনেরা, মেঝেতে বসেন ৫ উপদেষ্টা

১২

শ্যামলীতে ছিনতাইকারীদের একজন গ্রেপ্তার, মোটরসাইকেল জব্দ

১৩

নারীদের বীরত্বপূর্ণ অবদানে জুলাই উইমেন্স ডে উদযাপন

১৪

এসএসসি-এইচএসসিতে ভালো ফল করা শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর

১৫

মাকে জীবনের জন্য হুমকি দাবি, বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি ছেলে 

১৬

চরমোনাইর দরবারে এনসিপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

১৭

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল 

১৮

বাড়ির পেছনে পড়ে ছিল শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ

১৯

আশুলিয়া কলেজ প্রশাসনের ভুলে বিপাকে ১৮৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থী

২০
X