গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা। রোববার (১৩ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি) সেমিনার কক্ষে এ কর্মশালা আয়োজিত হয়।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের গম ব্লাস্ট দমনে ব্যাসিলাস-ভিত্তিক জৈব বায়োকীটনাশক প্রস্তুত ও ব্যবহার শেখানো হয়।
কর্মশালাটি আয়োজন করে গাকৃবির ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (আইবিজিই), অর্থায়নে ছিল বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি (বিএএস) এবং যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন গাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. জাহুরুল করিম।
বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘গম ব্লাস্ট একটি ভয়াবহ রোগ যা প্রতিবছর ব্যাপক ফসলহানি ঘটায়। রাসায়নিকের বিকল্প হিসেবে ব্যাসিলাস প্রযুক্তি নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব উপায় হতে পারে।’
প্রধান আলোচক হিসেবে প্রফেসর ড. তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ‘গম চাষে টেকসই পরিবর্তন আনতে পরিবেশবান্ধব বায়োকীটনাশক কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।’
কর্মশালার সেশনে আলোচনায় অংশ নেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. লতিফুল বারী (ব্যাসিলাস ফর্মুলেশনের প্রযুক্তিগত দিক)। বিএআরআই-এর সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ড. তোফাজ্জল হোসাইন রনি (কীটনাশক তৈরির প্রক্রিয়া ও প্রয়োগ কৌশল)।
এছাড়া অংশগ্রহণ করেন গাকৃবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিএআরআই ও ব্রি-এর বিজ্ঞানীরা।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা পরীক্ষাগারে সরাসরি জৈব কীটনাশক তৈরি শিখে মাঠপর্যায়ে ব্যবহারযোগ্য জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের কো-পিআই ড. দিপালী রাণী গুপ্তা। আয়োজকরা আশা করছেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা দেশের কৃষি খাতে একটি কার্যকর, নিরাপদ এবং টেকসই বিপ্লব ঘটাতে পারে।
মন্তব্য করুন