চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : আমীর খসরু

চট্টগ্রামে আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণসভায় বক্তব্য দেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রামে আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণসভায় বক্তব্য দেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি : কালবেলা

বিএনপি নেতাকর্মীরা অসম্মানের রাজনীতি করে না মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছে, তা বাস্তবায়নের প্রত্যয়ই বিএনপির রাজনীতি। যারা দেশের রাজনীতিকে আবারও কুলুষিত করতে চাচ্ছে, নির্বাচনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, সহনশীল রাজনীতিকে তারা বাধাগ্রস্ত করছে, সম্মানজনক রাজনীতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণও তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেট এলাকার এলজিডি অডিটোরিয়ামে বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর মানুষের মনোজগতে যে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সবার আশা-আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা ও নতুন স্বপ্ন যে রাজনীতিবিদ বা দল ধারণ করতে পারবে না, তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমরা যদি সেটা ধারণ করতে না পারি, তাহলে আগামীর বাংলাদেশে আমাদেরও রাজনীতি করা কঠিন হয়ে পড়বে।’

জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি পদদলনের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বক্তৃতার মাধ্যমে কাউকে ছোট করার যে প্রবণতা, এই রাজনীতি বাংলাদেশে চলবে না। এখন রাজনীতি হবে সহনশীলতার রাজনীতি। এখন রাজনীতি হবে আপনি কারও সঙ্গে দ্বিমত হয়েও তাকে সম্মান জানানোর রাজনীতি। বাংলাদেশের মানুষ সহনশীলতা চায়, তারা দেশকে নতুনভাবে গড়তে চায়। বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি মানুষ নতুন স্বপ্ন দেখছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষ যা দেখতে চাচ্ছে তার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তারেক রহমান। তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন না। তিনি বিএনপির কথা বলছেন, নিজের কথা বলছেন। যারা এমন বিষাদ আচরণ করছেন, যাদের বক্তব্যে অস্থিরতা রয়েছে, যাদের বক্তব্যে সম্মানবোধ নেই; তার বিপরীতে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে সহনশীলতার রাজনীতি। তাদের বিপরীতে বিএনপির রাজনীতি সম্মানের রাজনীতি। বিএনপির রাজনীতি শান্তিপূর্ণ ও দেশ গড়ার রাজনীতি।’

আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা যারা বিএনপি করি, তারা অসম্মানের রাজনীতি করি না। ফলে আমাদের সব নেতাকর্মীর ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সহনশীল হতে হবে, অন্যের মতের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবুর রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর।

নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এম এ আজিজ, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শওকত আজম খাজা, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভবনকে যার সঙ্গে তুলনা করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে কমিশনের নতুন ফর্মুলা

পিএসজিকে বিধ্বস্ত করে শিরোপা জিতল চেলসি

লন্ডনে সাউথেন্ড বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্ত

দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে

‘হাসিনাকে বাংলার মসনদে ফেরাতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে’

আবু সাঈদ হত্যায় ফরেনসিক বিশ্লেষণে দুটি বিষয় স্পষ্ট : আসিফ নজরুল

সোহাগকে বাঁচাতে কেন এগিয়ে আসেননি বাহিনীর সদস্যরা, জানালেন আনসারপ্রধান

অবশেষে আ.লীগের মন্ত্রীর ভাইকে সরানো হলো মুদ্রণ শিল্প সমিতি থেকে

আগামী ২ দিনের আবহাওয়া নিয়ে নতুন বার্তা

১০

চবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

১১

নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : আমীর খসরু

১২

ফিল্মি কায়দায় প্রবাসীকে অপহরণ, পুলিশের অভিযানে উদ্ধার

১৩

ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

১৪

চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ইংরেজিতে দক্ষ হবেন যেভাবে 

১৫

অধ্যাপক ব্রজ গোপাল বৈষ্ণবের পরলোকগমন

১৬

নৌবাহিনীর দায়িত্বে চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে গড় কনটেইনার হ্যান্ডলিং

১৭

তপশিলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত

১৮

সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ বলে প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম

১৯

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো : বিশ্বব্যাংক

২০
X