বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জুলাই সনদ প্রণয়নের কার্যক্রম চলছে। তবে অত্যন্ত ধীরগতিতে। আমরা সংস্কার কমিশনকে বলেছিলাম, আগস্টের ৫ তারিখের আগে এটি প্রণয়ন করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে ছাত্রদল আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থানের বাঁক বদলের দিন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সালাউদ্দিন বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া আমরা গত ১২ ফেব্রুয়ারি জমা দিয়েছি। কিন্তু ঐকমত্য কমিশন এটি এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি। এ ছাড়াও, গত ৮ আগস্ট থেকে নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকারী অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুধু ৩৬ দিনে হয়নি। গত পনেরো বছরের শোষণ-নির্যাতনের কারণে এ আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়েছে। ২০২৪-এর ডামি নির্বাচন হওয়ার পরে আমরা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম, স্বৈরাচারের পতনঘণ্টা বেজে গিয়েছে। তখন কেবল একটি ধাক্কার প্রয়োজন ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল সেই ধাক্কা।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে আওয়ামী লীগের জায়গা হবে না। আওয়ামী লীগ নামে রাজনীতি করা যাবে না। তবে আওয়ামী লীগের যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত নয়, তাদের একটা রিকন্সিলিয়েশন প্রসেসের মাধ্যমে শোধরানোর সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত, তাদের বিচারের প্রশ্নে এক বিন্দুও সুযোগ দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ রক্তদানকে যারা কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে, বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে, তারা ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় ও সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি, সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মেঘমল্লার বসু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন