দেশের ভেতরে একটি মহল সংস্কার ও বিচারের নাম করে জাতীয় নির্বাচন পেছাতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমিনুল হক। তিনি দাবি করেন, দু-একটি দল পরিকল্পিতভাবে অপকর্ম ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে এর দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দিতে চায়।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে মৌন মিছিপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল এসব কথা বলেন। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আমিনুল হক বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- এই প্রত্যাশায় সারা দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রও জোরদার হয়েছে। আমরা চাই- একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়, কোনো প্রকার দেরি বা নাটক চায় না।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমরা দেখেছি- গণতন্ত্রের অধিকারের জন্য মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে, জীবন দিতে হয়েছে। বিএনপি চায় না আর কোনো রক্ত ঝরুক। আমরা চাই- একটি পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক, যেখানে জনগণের ভোটাধিকার থাকবে।
সমাবেশে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানান। সমাবেশ শেষে মৌন মিছিলটি মিরপুর ১১, ১০ নম্বর গোল চত্বর দিয়ে কাজীপাড়া হয়ে শেওড়াপাড়ায় গিয়ে শেষ হয়।
মৌন মিছিলে সালাহউদ্দিন আহমেদ ও আমিনুল হক ছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, উত্তর বিএনপির সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, হাজী মোঃ ইউসুফ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, মোঃ শাহআলম, মাহাবুব আলম মন্টুসহ মহানগর উত্তরের অধীন ২৬টি থানা ও ৭১টি ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন