কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তাহের

‘জনগণের কাছে যার বাস্তব মূল্য নেই, এমন প্রস্তাবে সই করে লাভ কী’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি : সংগৃহীত
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি : সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘জুলাই সনদ যদি বাস্তবায়নযোগ্য না হয়, আইনগত ভিত্তি না থাকে, তাহলে তা শুধু একটি প্রতীকী দলিল হয়ে থাকবে। তাতে আমরা সই করব না। কারণ জনগণের কাছে যার কোনো বাস্তব মূল্য নেই, এমন প্রস্তাবে সই করে লাভ কী?’

বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ২২তম দিনের সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই ধরে নিয়েছিলাম, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো আইনগত ভিত্তি পাবে এবং তা বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক হবে। কিন্তু যদি আইনগত ভিত্তি না থাকে, তাহলে এটি কেবল কথার কথা থেকে যাবে। যা জনগণ মানবে না, গুরুত্ব দেবে না।’

সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বলেন, ‘দীর্ঘ আলোচনায় যেসব সংস্কার প্রস্তাবে একমত হয়েছি, তা যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, তাহলে বাংলাদেশে একটি গুণগত পরিবর্তন সম্ভব। কিন্তু গতকাল (২৯ জুলাই) কমিশনের পক্ষ থেকে যে সনদের খসড়া পাঠানো হয়েছে, তা দেখে খুব হতাশ হয়েছি। সেখানে বলা হয়েছে, দুই বছরের মধ্যে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু সরকারের মেয়াদ বা কমিশনের এখতিয়ার সম্পর্কিত কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।’

আশঙ্কা প্রকাশ করে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘এই সরকার কি তাহলে দুই বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়? যদি বর্তমান সরকার না থেকে পরবর্তী সরকার এসব বাস্তবায়ন করে, তাহলে এতদিন ধরে আমরা যে পরিশ্রম করেছি, তা কি কেবল পরামর্শ দেওয়ার জন্যই ছিল? তাহলে তো এর কোনো মূল্যই থাকল না।’

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বলেন, ‘দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে এই ধরনের পরিস্থিতি বহুবার তৈরি হয়েছে এবং তখনো আইনি জটিলতা পেরিয়ে সমাধানের পথ বের করা হয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, এরশাদসহ অনেক শাসক আইনগত প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় গিয়েছেন, সংসদ গঠন করেছেন, আইন পাস করিয়েছেন। ফলে এবারও আইনি ভিত্তি দেওয়ার সুযোগ আছে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুক্তরাজ্য  / কারিগরি ত্রুটিতে ১২০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল

সাড়ে চার বছর ধরে অচল দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র

গণপরিবহনে তৃতীয় লিঙ্গের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ যাত্রীরা

শ্বশুরবাড়ি থেকে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

আজকের মধ্যে আলোচনা শেষ করতে চায় কমিশন

সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে বন্দুক-গুলি জব্দ

বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

‘চোরাই মোটরসাইকেল গ্যারেজে রেখে বিক্রি করত তারা’

মিয়ানমারে প্রত্যাহার হচ্ছে জরুরি অবস্থা, ডিসেম্বরে নির্বাচন

শিবির নেতা সাদিক কায়েমকে নিয়ে নাহিদের পোস্ট 

১০

স্কুলে মোবাইল-মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করলেন ইউএনও

১১

শেষ টেস্টের আগে ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে গিল

১২

কৃষিজমিতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, অক্ষত পাইলট

১৩

মোহাম্মদপুরে সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ‘পিচ্চি মুন্না’ গ্রেপ্তার

১৪

সীমান্ত দিয়ে ১০ নারী-পুরুষকে বিএসএফের পুশইন

১৫

বাণিজ্যচুক্তি / হয়তো একদিন ভারতে তেল রপ্তানি করবে পাকিস্তান : ট্রাম্প

১৬

প্লট দুর্নীতি  / শেখ রেহানাসহ তিন সন্তানেরও বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা 

১৭

তাসকিনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন বন্ধু

১৮

যমুনা ইলেকট্রনিক্সের ‘ঈদ ডাবল খুশি অফার’ বিজয়ীদের মধ্যে কুপন হস্তান্তর

১৯

চিরঞ্জীবীর আতিথেয়তায় মুগ্ধ মৌনি

২০
X