বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের শরিকদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য এখন রাজপথে নিরসন করা যাবে না। টেবিলের আলোচনাকে রাজপথ দখলের প্রতিযোগিতায় পর্যবসিত করা সমীচীন হবে না।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে সাইফুল হক এসব কথা বলেন। বাসযোগ্য ঢাকা- নিরাপদ ঢাকা এবং ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ, বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ নগরের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
তিনি বলেন, এটা করতে চাইলে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা হিংসাশ্রয়ী বিভক্তি ও বিভাজনকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। অন্য কোনো পক্ষ এই পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন যদি কোনো কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যতও অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তাও বহুমাত্রিক ঝুঁকির মুখে পড়বে।
সাইফুল হক বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের কোনো অভিভাবক আছে বলে মনে হয় না। সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দিলেও তেমন কোনো ভূমিকা পালন করতে দেখছি না। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেই। শত শত মানুষ ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছুটছে, সেখানে কোনো সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। যানজট নিরসনের কোনো ব্যবস্থা নেই। চুরি- ডাকাতি ছিনতাই বহুগুণে বেড়ে গেছে। রাত ১০ টার পর কোনো নারী এখন আর ঘর থেকে বের হতে চায় না নিরাপত্তার অভাবের কারণে।
তিনি আরও বলেন, সরকার মূলত দেশ চালাতে পারছেন না। ’২৪ এর গণহত্যার বিচারকাজ চলছে, রাষ্ট্র কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের কাজও চলছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে যেটুকু ঐকমত্য পৌঁছানো গেছে, তাকে ধরেই জুলাই সনদ স্বাক্ষর করে নির্বাচনের দিকেই মনোযোগ দেওয়া দরকার।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন- ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই যাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেটা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক।
দলের ঢাকা মহানগরের সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মুশতাকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, ঢাকা মহানগরের নেতা যুবরানী আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন , আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে দৈনিক বাংলা মোড়, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগর এসে পদযাত্রা শেষ হয়।
মন্তব্য করুন