দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আজ শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেশের সব জেলা শাখায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তবে কোথাও কোথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দিয়েছে বলে দলটির অভিযোগ। বিভিন্ন স্থানে দলের নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে হামলা এবং গ্রেপ্তার ও মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পুলিশ ভয়ভীতি দেখিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালায়, ঘরের মূল্যবান জিনিপত্র ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। স্মার্ট ফোন, কুরআন-হাদিসসহ মূল্যবান বই-পুস্তক এবং বাড়ি-ঘরের সাধারণ জিনিসপত্র জব্দ করা হয়। নেতাকর্মীদের না পেয়ে বাড়িতে থাকা লোকদের ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং বৃদ্ধ পিতা-মাতা, মহিলা ও শিশুদের আক্রমণাত্মক ভাষায় গালাগাল করে মানসিক নির্যাতন করা হয়। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় ঠাকুরগাঁও সদরে কর্মসূচি পালনের শুরুতেই জেলার সহকারী সেক্রেটারি কফিল উদ্দিনসহ জামায়াত-শিবিরের ২১ জন, বৃহস্পতিবার রাতে যশোরের মনিরামপুরে ডা. শরিফুল ইসলাম, বাঘারপাড়ার নাসির হায়দারসহ চারজন নেতাকর্মীকে এবং দিনাজপুর জেলার বিরামপুর, পার্বতীপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৬ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আমরা এসব অন্যায় গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সরকারের সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে দ্রুত সাজা দেওয়ার জন্য সরকার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলাগুলো সচল করেছে। এভাবে দমনপীড়ন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন দমন করা যাবে না। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মুখে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে ইনশাআল্লাহ।
অবিলম্বে অন্যায় গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান তিনি।
মন্তব্য করুন