

দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশের পথে উড়াল দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনের ফ্লাইটটি ঢাকার পথে রওনা হয়েছে। তারেক রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান রয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ঢাকায় বহনকারী বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তিনজন জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ পাইলট। এই গুরুত্বপূর্ণ যাত্রায় পাইলট-ইন-কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্যাপ্টেন ইমামুল, যিনি দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও পেশাগত দক্ষতার জন্য পরিচিত।
ফ্লাইট ডেকে তার সঙ্গে সহকারী পাইলট হিসেবে আছেন আরও দুই অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন—রাশেদিন ও আসিফ ইকবাল।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন পর তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে অভিজ্ঞ ও সিনিয়র পাইলটদের সমন্বয়ে এই ফ্লাইট ক্রু গঠন করা হয়েছে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড অনুসরণ করেই এই উচ্চ গুরুত্ব ও সংবেদনশীল ফ্লাইটের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে, যাতে নিরাপত্তা, পেশাদারিত্ব ও পরিচালন দক্ষতার সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা যায়।
এদিকে তারেক রহমানের জন্য সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি বিএনপির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পূর্বাচলে ৩০০ ফিট সড়কে যে সংবর্ধনা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে তার চারপাশে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব থাকা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামছুল ইসলাম। গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দলের পক্ষে থেকে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে।
মন্তব্য করুন