১২ দলীয় জোট নেতারা বলেছেন, এ সরকারের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বসহ কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমর্থন নেই। এসব রাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অবাধ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের শঙ্কা ও গণতন্ত্রহীনতার কারণে গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো আসন্ন নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে তারা জানিয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর পানির টাংকির সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিজয়নগর থেকে শুরু হয়ে নাইটিংগেল মোড় ঘুরে পুরানা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মানসুর আলম শিকদার প্রমুখ।
জোট নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্রকে হিমঘরে পাঠায়। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাই ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। কিন্তু একদলীয় বাকশাল গঠন করে আওয়ামী লীগ সেই চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
নেতারা বলেন, ১৫ বছর ধরে আবারও অঘোষিতভাবে বাকশাল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত দুবারের মতো এবারও যদি আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ চালানোর সুযোগ পায়, তাহলে দেশে পুরোপুরি বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে, দেশে গণতন্ত্র চিরদিনের জন্য বিদায় নেবে।
নেতারা আরও বলেন, শেখ হাসিনা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু যখন দেখলেন পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে- তখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একদিনের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে সেখানে নানাভাবে তদবির করে আমেরিকাকে ম্যানেজ করতে সপ্তাহ পার করে দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই- এতে কোনো লাভ হবে না, বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে, শেখ হাসিনা আপনি এবারে খেলা বন্ধ করুন। জনগণের দাবির কাছে নতি স্বীকার করে সম্মানজনকভাবে বিদায়ের উপায় বের করুন। আপনার ক্ষমতায় থাকার সময় শেষ। আপনি বিনাভোটের নির্বাচনে আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।
বিক্ষোভ মিছিলের শুরুতে বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জমিয়তের গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম।
মন্তব্য করুন