ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, দখলদার ও খুনি ইসরাইলি বাহিনী মানবতার দুশমন, মুসলমানের দুশমন। এরা দুনিয়াব্যাপী অশান্তি লাগিয়ে রেখেছে। দখলদার ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনে দখলদারিত্ব করে নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। ইহুদি দখলদার বাহিনী থেকে ফিলিস্তিনের নারী-শিশু, পুরুষ কেউই রেহাই পাচ্ছে না।
আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সর্বপ্রথম ফিলিস্তিন বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও এখন বাংলাদেশ সরকার ফিলিস্তিনের পক্ষে না গিয়ে ইসরাইলকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে এবং ভারতের সাথে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশ সরকারও ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অথচ বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিলে এবং শক্তভাবে পাশে দাঁড়ালে ফিলিস্তিনিরা ঘুরে দাঁড়াতে সাহস পেত।
এদিকে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চরমোনাই পীর বলেন, যারা বাংলাদেশের মাটিতে বসে ইসরাইলে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাদের দেশবাসী ক্ষমা করবে না। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন ভূখণ্ড ফিরিয়ে দিতে সৌদি, কাতার, কুয়েতসহ বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, বিশ্বের সকল বিবেকবান মানবাধিকারপন্থিদের অবৈধ দখলদারদের পক্ষ ত্যাগ করে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাই। পবিত্র ভূমিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। এই অবৈধ ইসরাইল আরব উপদ্বীপের শান্তি বিনষ্টের মূল। অবৈধ ইসরাইলি দখলের বিরুদ্ধে মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইসরাইলি পণ্য বর্জন করতে হবে। রাজনৈতিক, কূটনীতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ইহুদিদের বর্বরতা রুখে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই বাংলাদেশের মানুষ নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন ভূখণ্ডের পক্ষে এবং ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপসহীন। জাতীয় প্রতিশ্রুতির সাথে বেইমানি করে বর্তমান সরকার পাসপোর্ট থেকে ‘এক্সেপ্ট ইসরাইল’ শব্দটি বাতিল করেছে। অবিলম্বে সকল পাসপোর্টে এ শব্দ পুনসংযোজন করতে হবে।
মন্তব্য করুন