দেশবাসীর মতো বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও সরকার মশকরা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া অবৈধ সরকার ও সরকারের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। সম্প্রতি বিলেতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাই প্রমাণ করে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে ময়মনসিংহ মহানগরের নতুন বাজারে হরি কিশোর রায় রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন প্রিন্স।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এবং মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রিন্স বলেন, গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি একে অপরের পরিপূরক। সে কারণে জনবিচ্ছিন্ন সরকার গায়ের জোরে খালেদা জিয়াকে আটক রেখে গণতন্ত্র বন্দি করে রেখেছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বলেছে-বাংলাদেশে তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে না। তাকে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া সম্ভব না হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না । কিন্তু প্রতিহিংসাপরায়ণ অমানবিক সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে না দিয়ে উন্নত চিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দুনিয়া থেকে মাইনাস করতে চায়।
সমাবেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন বেগম খালেদা জিয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হলে দায়দায়িত্ব সব সরকারকেই বহন করতে হবে। জনগণ সরকারকে ছেড়ে দেবে না।
তিনি সকলের প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার জন্য যার যার যার অবস্থান থেকে দোয়া করার পাশাপাশি রাজপথে সর্বাত্মক আন্দোলনে শামিল থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে একদফার আন্দোলন চলছে। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংসদ বাতিল ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। গণদাবি অগ্রাহ্য করে সরকার দমন নিপীড়ন চালিয়ে যেনতেন নির্বাচনের নামে প্রহসন করতে চাইলে গণবিস্ফোরণ ঘটবে।
তিনি দমন-নিপীড়ন উপেক্ষা করে সবাইকে চূড়ান্ত আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইনশাআল্লাহ এই আন্দোলনে জনগণ বিজয়ী হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক বিএনপি নেতাদের ঠান্ডা করে দেয়ার হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে প্রিন্স বলেন, জনগণের আন্দোলনে বিচলিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা সন্ত্রাসী ভাষায় হুমকি দিচ্ছে।
হুমকি-ধমকির দিন শেষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণ দাবি মেনে পদত্যাগ না করলে কীভাবে আঙ্গুলে ঘি তুলতে হয়- জনগণ তা জানে।
এমরান সালেহ প্রিন্স দমন নিপীড়ন বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা.মাহবুবুর রহমান লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, কাজী রানা বক্তব্য রাখেন ।
মন্তব্য করুন