আরও একটি ভুয়া নির্বাচনের নীল নকশার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের নির্দেশে বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৃশংস তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জিয়া পরিষদ।
সংগঠনের চেয়ারম্যান বিএনপি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মো. আবদুল কুদ্দুস, মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদ আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ, পুলিশ লীগ আগ্রাসী ও নৃশংস হামলা চালিয়ে আরো একটি নীল নকশার নির্বাচন বাস্তবায়নে অগ্রসর হচ্ছে।
নেতারা বলেন, ২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে বিনা উসকানিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের যৌথ মহড়ায় মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের উত্তেজিত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে।
তারা বলেন, মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশের উপস্থিতিতে পুলিশের জন্য রিকুইজিশনকৃত বাসে ডিবির পোশাক পরিহিত লোক বাসে আগুন ধরিয়ে হোন্ডায় করে চলে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন সেই বাসের ড্রাইভার। দেশি-বিদেশি সব গণমাধ্যম তা ফলাও করে প্রকাশ করেছে।
নেতারা বলেন, মহাসমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ কোনো নেতাই উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেননি। সব বক্তাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মহাসমাবেশ শেষ করে নেতাকর্মীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
তারা আরও বলেন, দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক নেতারা কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট এই সরকারকে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানালেও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমিধস পরাজয় নিশ্চিত উপলব্ধি করে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা চালিয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আহত করেছে, লাঠি চার্জ করে যুবদলের কর্মী শামিমকে হত্যা করেছে।
তারা বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে নিরীহ মানুষের ওপর টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সহিংসতার যে নজির স্থাপন করেছে তার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করছি।
নেতারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদপত্র, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ইতোমধ্যেই এই অপকর্মের জন্য সরকারের পেটোয়া বাহিনী ও পুলিশকে অভিযুক্ত করেছেন। নেতারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই চ্যালেঞ্জিং সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদীবিরোধী সব দল-মত শক্তিকে সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান।
নেতারা তথাকথিত অসত্য মিথ্যা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান। অবিলম্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যুগ্ম মহাসচিব, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন