গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জনগণ সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবরোধ পালন করছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন, তাহলে গণভবন ঘেরাও করে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের ভাইদের বলব- আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না, জনগণ আপনাদের শত্রু না। যারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে তাদের পরিণতি খারাপ হবে। সরকার শ্রমিক আন্দোলনে হামলা করে মিরপুরে দুজন, গাজীপুরে একজনকে হত্যা করেছে। এর আগে ২০১৩ সালে আলেমদের মেরেছে, রাজনীতিবিদদের মারছে, গণগ্রেপ্তার করছে। এদের হাতে কেউ নিরাপদ নয়। সকলে মিলে রাজপথে নেমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির মোড়ে গণঅধিকার পরিষদের এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন নুর। এর আগে চলমান অবরোধের সমর্থনে দলটির নেতাকর্মীরা পল্টন টাওয়ারের সামনে থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি পানির ট্যাঙ্কি মোড়, পল্টন মোড় ঘুরে পুনরায় পানির ট্যাঙ্কির মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, গতকাল (বুধবার) মগবাজার থেকে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা উজ্জ্বলকে অন্যায়ভাবে আটক করেছে, বিএনপিসহ বিরোধীদলসমূহের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করছে। অনতিবিলম্বে গণঅধিকার পরিষদের নেতা উজ্জ্বলসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি দাবি করেন তিনি। সমাবেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনও বক্তব্য দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, আব্দুজ জাহের, সহসভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল ইসলাম, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হোসেন, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূইয়া, দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব প্রমুখ।
মন্তব্য করুন