ভারতের ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে ‘সেকুলারিজম-পলিটিক্যাল ইসলাম’ এবং ‘জামায়াতে ইসলামী’ নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতীয় একটি ইংরেজী দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’-তে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সেকুলারিজম, পলিটিক্যাল ইসলাম সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কিত যে মতামত প্রদান করেছেন, সেসব বক্তব্য এবং মতামত একান্তই তার নিজস্ব। এর সঙ্গে দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিএনপির মূল ভিত্তি হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। জনগণভিত্তিক গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক মুক্তি ও সব ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নাম বিএনপি।
গত ৮ নভেম্বর ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকায় ‘১৯৭১ সালের মতো আবারও উচিত বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সমর্থন করা’ শিরোনামে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর এক সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।
ওই সাক্ষাৎকারে টুকু বলেছেন, বিএনপি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল, যারা ‘রাজনৈতিক ইসলাম’ এর বিরোধিতা করে। বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক দল। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক জোট যেভাবে হয়, ঠিক সেভাবেই জামায়াতের সঙ্গে আমাদের জোট হয়েছিল। সেটা এখন অতীত। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপরে প্রশ্ন তোলা উচিত- কেন তিনি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেননি? তার কাছে সেই জবাব চাওয়া উচিত।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার পরে দল ও সমমনা জোটের মধ্যে নানা রকম গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে দলের পক্ষ থেকে তার অবস্থান পরিষ্কার করে বিবৃতি দেওয়া হলো।
মন্তব্য করুন