শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৫ পিএম
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আগামী নির্বাচন অগ্নিপরীক্ষা : নানক

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি : কালবেলা
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি : কালবেলা

সবাইকে চোখ কান খোলা রাখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে আগামী নির্বাচন একটি অগ্নিপরীক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে পারলে উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাবে বাংলাদেশ।

আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ আগুনে মার্কেটটি পুড়ে যায়। এর ৬০ দিন পর মার্কেটটি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হলো।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমাদের উন্নয়ন, গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে। গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসায় কেন হামলা হলো? জাস্টিস কোয়ার্টারে কেন হামলা হলো? পুলিশ কনস্টেবলকে কেন হত্যা করা হলো? কারা সেই পুলিশ সদস্যের সন্তানকে পিতৃহারা করল? কেন সেদিন শত শত পুলিশকে নির্মমভাবে আহত করা হলো? কার স্বার্থে, কীসের স্বার্থে? এখন কেন অবরোধ দেওয়া হচ্ছে? কীসের অবরোধ? এ অবরোধ জনগণের বিরুদ্ধে অবরোধ।

তিনি বলেন, তারেক রহমান লন্ডনের প্রাসাদে বসে লাদেনের মতো বক্তৃতা দেন। তারেক রহমানের লক্ষ্য হলো- আমি যে দেশে থাকতে পারি নাই, সেই দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেব না। সেই দেশকে আমি স্থিতিশীল থাকতে দেব না। আমি যে দেশে শিক্ষা নিতে পারি নাই, মেট্রিক পাস করতে পারি নাই, সেই দেশে আমি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালাতে দেব না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, আমরা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব সম্পর্কে জানি। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা মানুষের কষ্ট লাঘব করতে নিরন্তর পরিশ্রম করেন। তাহাজ্জুত নামাজ পড়েন, ফজরের নামাজ আদায় করে এ দেশের মানুষের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেন। সেই মানুষটির কর্মী হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ভুল করিনি। আর ভুল করিনি বলেই মাত্র ৬০ দিনের মাথায় এই মার্কেটের কাজ আমরা শুরু করছি, ইনশাআল্লাহ্।

নানক জানান, গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী নিজেই মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের খোঁজ নিয়েছেন। আমার নেত্রী যা বলেন, তা করেন। আমরা যা বলি, তা করি।

২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি তার সময়ে ঢাকা-১৩ আসনের অন্তর্গত মোহাম্মদপুর, আদাবর, বসিলা, শেরেবাংলা নগর এলাকার সড়ক-অবকাঠামো, পানি সরবরাহ, করবস্থান নির্মাণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমাদের চরিত্র এমন, আমরা এই মার্কেটে খুঁজতে যাইনি, জরিপ করিনি কে আওয়ামী লীগ করতেন, কে বিএনপি করতেন, কে জামায়াত করতেন, কে জাতীয় পার্টি করতেন। আমরা এই মোহাম্মদপুরে যে উন্নয়ন করেছি, যে রাস্তা করেছি, সেই রাস্তা দিয়ে সব দলের নেতাকর্মী চলাচল করে। এই মোহাম্মদপুরে পানির জন্য হাহাকার ছিল। আমরা পানির পাম্প স্থাপন করেছি। এই মোহাম্মদপুরে বিএনপি-জামায়াতের আমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তারা লুটপাট করে ধ্বংস করে দিয়েছিল। সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছি।

নানক বলেন, এই মোহাম্মদপুর ছিল সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য, মাদকের স্বর্গরাজ্য। আমরা সেই মাদকের স্বর্গরাজ্যের কবর রচনা করেছি। যদিও এখন আবার মাথা উঁকিঝুঁকি মারে। এই মোহাম্মদপুরের রাস্তা দিয়ে যাওয়া যেত না। বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাঁটু সমান পানি থাকতে। গর্তে পড়ে রিকশা উল্টে যেত। সেই রাস্তাঘাট আমরা করে দিয়েছি। যে বসিলার মানুষ মোহাম্মদপুর যাওয়ার সময় বলত, ঢাকা যাচ্ছি। সেই বসিলা এখন তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত হয়েছে। আমরা যা বলি, তা করি। আমাদের নেত্রী যা বলেন, তা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ ও স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা হাসিবুলের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

গণতন্ত্রে উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন পাওয়া গেছে : মির্জা ফখরুল

আমরা পা ছেড়ে মাথার রগে ফোকাস করছি, মজার ছলে সর্ব মিত্র

নাটকীয় ম্যাচ জিতে টাইগারদের সিরিজ জয়

জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যুতে হাসপাতালে ভিপি সাদিক কায়েম

হঠাৎ খিঁচুনিতে জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

আবারও ইনজুরিতে ইয়ামাল

ঈদগাহের নামকরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

খুলনায় ছেলের হাতে বাবা খুন

চাকসু নির্বাচন / ১৫ সেকেন্ডে দিতে হবে ১ ভোট

১০

‘ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবীরা বেশি অমর্যাদার শিকার’

১১

এক গ্রামে ১১ জনের শরীরে মিলল অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ

১২

থানায় জিডি করলেন সালাউদ্দিন টুকু

১৩

সংস্কৃতির ভেতরেই রাজনীতির সৃজনশীলতা নিহিত : দুদু

১৪

সাইফের চোখ বাঁচাতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা

১৫

সিরিজ জিততে বাংলাদেশের দরকার ১৪৮ রান

১৬

জাতিসংঘে ড. ইউনূসের সফর গণতন্ত্র ও মানবিক সংহতির বার্তা : প্রেস সচিব

১৭

বিরক্ত মেহজাবীন চৌধুরী

১৮

জামায়াত অন্তত ১৬০টি আসন পাবে : সাদ্দাম

১৯

‘মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

২০
X