দুএকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া সারা দেশে অনেকটা নিরুত্তাপ ও শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সকাল ৬টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত আট ঘণ্টার হরতাল। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের একতরফা তপশিল ঘোষণার প্রতিবাদে দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট।
টানা আট ঘণ্টার হরতালে রাজধানীসহ সারা দেশে খুব একটা প্রভাব পড়েনি। রাজধানীর সড়কে সকালে যানবাহন চলাচল কম দেখা গেলেও বেলা বাড়তেই সবকিছু ছিল স্বাভাবিক। হরতালের সমর্থনে নেতাকর্মীদের অবস্থানও দেখা যায়নি। সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন ছিল সীমিত।
এদিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলছেন, হরতালের সমর্থনে মিছিল সমাবেশ করতে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রংপুর, নওগাঁ, ফেনী, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশি হামলার শিকার হয়েছেন নেতাকর্মীরা। বাধা উপেক্ষা করে একাধিক স্থানে হরতালের সমর্থনে মিছিল হরেছে।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে হরতালে নৈতিক সমর্থন ও সফল করার জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করেছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এই একতরফা তপশিল ঘোষণা তারই প্রমাণ। তারা সংবিধান রক্ষার দোহাই দিয়ে সংবিধান ও গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরেছে। জনগণের ন্যূনতম ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পরিবর্তে প্রহসনের নির্বাচন করতে চাইছে।
নেতারা বলেন, সারা দেশে হরতাল সফল করতে কমিউনিস্ট পার্টিসহ বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা রাস্তায় নামলে- তাদের বাধা দেওয়া সহো হামলা করা হয়েছে। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পার্টির সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলামসহ সারা দেশে বাম জোটের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী হামলায় আহত হয়েছে। রংপুরে বাম জোটের আব্দুল কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতারা বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এ হামলার জবাব দেওয়া হবে। জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও জনজীবনের সংকট দূর করতে চলমান দুঃশাসনের অবসান করতে হবে। চলমান সংগ্রাম অগ্রসর করতে ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে গণআন্দোলন গণসংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
মন্তব্য করুন