১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, দেশের অর্থনীতি এখন ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। যে কোনো সময় দেশ অর্থনীতি আকালে পরিণত হতে পারে। অর্থনীতির এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকারি দলের এমপি-মন্ত্রী, নেতাকর্মী ও আমলাদের বেপরোয়া লুটপাট ও অর্থপাচার। এ ছাড়া কখনো কখনো বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের অতিরিক্ত অর্থের অপচয়ও বর্তমান অর্থনীতির দুরবস্থার প্রধান কারণ।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এক বিক্ষোভ মিছিলপরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। এর আগে চলমান হরতালের সমর্থনে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল বের করেন ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা । পরে মিছিলটি বিজয় নগর ঘুরে পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই সরকার জনগণের ওপর যে জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে, যেভাবে বিরোধী নেতাকর্মীদের উপর মামলা-হামলা চালাচ্ছে, যেভাবে গুম-খুন চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে এই সরকারকে পালাবার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। দেশের প্রচলিত আইনে, দেশের মাটিতেই এই সরকারের বিচার করা হবে।
জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে সারাদেশে গণগ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শত শত নেতাকর্মীকে সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে সকল কারাবন্দিকে মুক্ত করা হবে।
জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, এই সরকার রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জনগণের মতের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি তপশিল দিয়ে মানুষের অধিকার হরণের চূড়ান্ত পথে সরকারের অবস্থান। আমরা স্পষ্ট ভাষায় সরকারকে বলে দিতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় সকল পরিস্থিতির জন্য এই সরকার দায়ী থাকবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী প্রমুখ।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) হান্নান আহমেদ খান বাবলু, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ এলডিপির সৈয়দ ইব্রাহিম রনক, এম এ বাশার, আবদুল হাই নোমান, হামিদুল করিম আব্বাসী ফরিদ উদ্দিন, জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, জমিয়তের আতাউর রহমান খান, মাওলানা এমএ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মো. আসাদ, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলের মিজানুর রহমান পিন্টু, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন, জাগপা ছাত্রলীগের শ্যামল চন্দ্র সরকার, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান ছাত্র মিশনের মো. মোসতাকিন বিল্লাহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন