বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) মহাসচিব মো. আব্দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় থাকতে ফের একতরফা, প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করছে। কিন্তু জনগণ ইতোমধ্যে এই নির্বাচনী তামাশা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আগামী ৭ জানুয়ারির একতরফা ভোটে অংশগ্রহণ করবেন না।’
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ‘একতরফা’ ভোট বর্জনের আহ্বান এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর, পুরানা পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় গণফোরাম (মন্টু)-বিপিপির যৌথ উদ্যোগে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুল কাদের বলেন, ‘দেরিতে হলেও নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের অনেকেই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন। আজকে জাতীয় পার্টির তিনজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা ঘরে বসে আছেন। দলের চেয়ারপারসন ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছেন তারা। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন অবস্থা এমন যে, নির্বাচন নিয়ে সরকার এবং অন্য প্রার্থীদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিজেরা নিজেরাই মারামারি করে সরকারি দলের অবস্থা শোচনীয়। এক হুইপের ভাইকে কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করা হয়েছে এবং তার বোনকেও মারধর করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নৌকা স্বতন্ত্রের বিপক্ষে এবং স্বতন্ত্র নৌকার বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছে। কেউ গুলির ভয় দেখাচ্ছে, কেউ হাত-পা ভেঙে ফেলার কথা বলছে। বিরোধী দলকে প্রতিহত করতে গিয়ে এখন নিজের ঘর সামাল দিতেই অবস্থা খারাপ বর্তমান সরকারের।’
বিপিপির এই মহাসচিব বলেন, ‘আজকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীন, বেকারত্ব অসহনীয়, অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। তাতে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই, সরকার যেনতেনভাবে একটা নির্বাচন করে ফের ক্ষমতায় আসতে চায়। তবে বিগত সময়ের মতো এবারও জনগণ ভোট বর্জন করেছে। জনগণ জানে, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে শুধু সরকার ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের লাভ হয়, জনগণের কোনো লাভ নেই।’
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন- গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, তথ্য ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গণফোরামের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলু, গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামাল উদ্দিন সুমন, ইমাম হোসেন, সোলায়মান অয়ন, প্রদীপ ঘোষ, শাকিল হোসেন; বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাষানী, প্রেসিডিয়াম মেম্বার নাজমা আক্তার, হারুন-অর রশিদ, আলমগীর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব জসিম জোয়ার্দার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন