একদিকে ভোটদানের অধিকার কেড়ে নিয়ে রঙ্গ-তামাশার আয়োজন চূড়ান্ত, অন্যদিকে মানুষকে ভয় দেখানোর নির্মম পদ্ধতিগুলোর মঞ্চায়ন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সারা দেশে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে, জোর জবরদস্তি করে, টাকা ছিটিয়ে ভোটকেন্দ্রে আনার পাঁয়তারা চলছে। জনগণের শান্তিপূর্ণ ভোট বর্জনের কর্মসূচির ওপর হামলে পড়ছে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বানে’ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। পরে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মেহেরবা প্লাজা থেকে শুরু হয়ে পল্টন, বিজয়নগর মোড় হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়। সমাবেশ পরিচালনা করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ।
নেতারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা ভোটাধিকারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-কর্মসূচি করলেও তাদের নাম ঠিকানা নিয়ে তাদের অভিভাবকদের ফোনে হুমকি দিচ্ছে সরকার। এ সরকার লুটেরাদের সাথে ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারা করে দেশে ব্যাংক-লুট, টাকা-পাচার ও মাফিয়াতন্ত্রকে পাকাপোক্ত করার নির্বাচন করছে। যাতে এ নির্বাচনটা নিরাপদ ও ন্যায্য বাধা-বিরোধিতা ছাড়া তারা করতে পারে সেজন্য বিরোধীদের ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এ তামাশায় ২ হাজার কোটি টাকাও খরচ করা হচ্ছে।
নেতারা আরও বলেন, ট্রেনে আগুন লাগিয়ে চারজন মানুষের মৃত্যু ভয়ংকর ও মর্মান্তিক। অবিলম্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। নেতারা মানুষের জীবন নিয়ে খেলার বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাখখারুল ইসলাম নবাব।
মন্তব্য করুন