সরকারের পতনসহ ২০ দফা দাবিতে আগামী ২৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২৮ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী সভা-সমাবেশসহ মতবিনিময় সভা করবে জোটের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) পুরানা পল্টনস্থ সিপিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন জোটের নেতারা।
জোটের নেতারা জানিয়েছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, শ্রমিকদের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণসহ জনজীবনের সংকট দূর, সম্পদ লুটপাটকারীদের শাস্তির দাবিতে দুদক, এনবিআর-এর সামনে অবস্থান, বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও জোটের পক্ষ থেকে দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করতে একদলীয়, অগ্রহণযোগ্য-জনসমর্থনহীন-প্রহসনের নির্বাচনে ঘোষিত সংসদ ভেঙে দিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি প্রবর্তনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সরকার একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করে দেশে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা আরও পাকাপোক্ত করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারের আচরণ, পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করা আর নির্বাচনী পরিস্থিতিতে দেখা যায়, দেশের গণতন্ত্রহীনতায় নির্বাচন ব্যবস্থা আজ ভঙ্গুর, সুষ্ঠু নির্বাচন নির্বাসনে চলে গেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান ও অতীতের ক্ষমতাসীনদের শুধু ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি, রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করা, মুক্তবাজারের লুটপাটের অর্থনীতির ধারায় চলমান বাজারি রাজনীতি এই সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। এরা রাজনীতিকেও রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির ফলে লুণ্ঠণকারীরা আজ এসব দলের চালকের আসনে বসে আছে। রাজনীতির এই বৃত্ত ভাঙা না হলে অপরাজনীতি দূর করার পথ পরিষ্কার হবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদ) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।
মন্তব্য করুন