জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে বহিষ্কারের একদিন পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রওশনপন্থিরা। আগামী ২ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব মামুনুর রশীদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে রোববার (২৮ জানুয়ারি) গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় সভা শেষে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অথবা ১ মার্চ জাতীয় পার্টির কাউন্সিল হবে বলে জানানো হয়। এ সময় সভায় ৪ জন এমপিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
লিখিত বক্তব্যে রওশন নিজেকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক ঘোষণা করে বলেন, জাতীয় পার্টি এখন একটি ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বক্তব্য ও বিবৃতি এবং নির্বাচনপরবর্তী সময়ে তাদের ভূমিকা পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৭টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান করে ২৬টি আসনে সমঝোতা করেও জনগণরে সামনে অস্বীকার করে দেশবাসী এবং পার্টির মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ছয়টি বিষয় উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, পার্টির নেতাকর্মীদের অনুরোধে এবং পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে আমি পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি প্রদান করলাম।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব ব্যতীত পার্টির অন্যান্য পদ পদবি স্ব স্ব অবস্থায় বহাল থাকবে।
এদিকে বহিষ্কারের বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, পার্টি থেকে কাউকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা নেই রওশন এরশাদের। রোববার (২৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিষয়টি নিয়ে আজ দুপুর আড়াইটার পর জাপার চেয়ারম্যানের কার্যালয় বনানীতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে মুজিবুল হক বলেন, প্রত্যেকটি দলের গঠনতন্ত্র আছে। জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছে। প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন জিএম কাদের। কাজেই নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তিনি দলের চেয়ারম্যান। মুজিবুল হক মহাসচিব।
মুজিবুল হক বলেন, গঠনতন্ত্রে এমন কোনো ধারা নেই যে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কাউকে বাদ দেবেন। রওশন এর আগে জিএম কাদেরকে বহিষ্কার ঘোষণা করেছেন। এটা তৃতীয়বার। পরে ঘোষণা আবার প্রত্যাহারও করেছেন।
মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা এটা নলেজে (আমলে) নিচ্ছি না। এর ভিত্তি নেই। গঠনতন্ত্রে তার (রওশন) এই ধরনের কোনো ক্ষমতা নেই।’
মন্তব্য করুন