আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
সোমবার ভোটগ্রহণ চলাকালে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়। তাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। হাসপাতাল ছাড়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন হিরো আলম।
এ সময় নির্বাচন বয়কটের ঘোষণাও দেন একতারা প্রতীকের এই প্রার্থী। হিরো আলম বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাওয়া যাবে না। যারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে পরিকল্পনা ছিল আমার ওপর হামলা করার। সারা বিশ্ব দেখেছে আমাকে মারার দৃশ্য, এটা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে চিঠি দেব। ভোট প্রত্যাখ্যান করলাম।’
হিরো আলম বলেন, ‘সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। কেন্দ্রে অবৈধ সিল মারার ঘটনায় বাধা দেওয়ায় তারা আক্রমণ করেছে। শেষ মুহূর্তে আঘাত করে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে।’
ইসির দেওয়া বক্তব্যে হিরো আলম বলেন, ইসি নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। যেখানে তিনজনের বেশি কেন্দ্রে ঢোকা যায় না, সেখানে ৭০ জন ইউটিউবার নিয়ে ঢোকার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন পরিবেশ হলে আর নির্বাচনে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন