ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বুধবার (১৯ জুলাই) গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে এ কথা জানান তিনি।
বৈঠকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়। ১৪ দলীয় জোট নেতারা হিরো আলমের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার ওপর হামলায় দলের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গণ-আজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার জানান, বৈঠকে গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মারধর (হিরো আলম) করার বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। সভায় উপস্থিত সবাই বলেছেন, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দলের কেউ জড়িত থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান রেখেই আগামী সংসদ নির্বাচন হবে বলে একদফা দিয়েছে ১৪ দলীয় জোট। সেই সঙ্গে এ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে বলে অভিমত জোটের নেতাদের।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এ জোট নির্বাচন ঘিরে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা ও নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেবে। সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারে নামার আগেই জোটের শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি চূড়ান্ত করার তাগিদ দিয়েছেন জোটের নেতারা।
এ ছাড়া মার্কিন প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর নিয়ে সভায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে কোনো দেশ নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিলে তা সামাল দিতে কৌশলী হবে সরকার ও ১৪ দলীয় জোট।
সেই সঙ্গে বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী ও এবি পার্টির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন জোটের নেতারা।
বৈঠকে জোট নেতারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা সরকারপ্রধানকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন। বিএনপির আন্দোলনকে ছাড় না দিতেও জোটের কেউ কেউ পরামর্শ দেন। জোট নেতারা বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে। সেক্ষেত্রে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন।
বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বক্তব্য দেন। সভায় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, গণ-আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন