জবাবদিহিমূলক আইনের শাসনকে বিদায় দিয়ে দেশকে বাস্তবে নৈরাজ্যের পথে ঠেলে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে সরকারের ভেতর-বাইরে অসংখ্য অপরাধী ও দুর্বৃত্তের জন্ম দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি চলতে দিলে দেশ অচিরে ভয়াবহ বিপর্যয়ে নিপতিত হবে।
বুধবার (২৯ মে) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজনৈতিক পরিষদের এক সভায় সাইফুল হক এসব কথা বলেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান ও সাবেক পুলিশপ্রধানের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের যেটুকু প্রকাশিত হয়েছে তা দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের খণ্ডাংশ মাত্র। হিমবাহের নয় ভাগের আটভাগ যেমন পানির নিচে থাকে, এদের অপরাধমূলক হাজারো তৎপরতারও বড় অংশই এখনো অজানা। সরকারকে টিকিয়ে রাখার উপঢৌকন হিসেবেই তারা তাদের অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ছত্রছায়ায় এ রকম শত শত মেগা অপরাধী গড়ে তোলা হয়েছে। এর দায়দায়িত্ব অবশ্যই সরকার ও সরকারি দলের।
তিনি আরও বলেন, এদের সীমাহীন দুর্নীতি এবং ভারতে সরকারদলীয় এমপির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায়দায়িত্ব সরকারের এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ সরকার ও সরকারি দল গত দেড় দশক ধরে তারকা অপরাধীদের প্রধান আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
সাইফুল হক বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, ‘ডামি’ সংসদ বাতিল, বিশ্বাসযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। একইসাথে গোটা রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধানের গণতান্ত্রিক রূপান্তরও জরুরি।
সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক ও মাহমুদ হোসেন।
সভায় আগামী ১৪ জুন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন