খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর দীর্ঘ ৮ মাসের বেশি সময় ধরে গণহত্যা চালিয়ে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাফা শরাণার্থী শিবিরে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইসরায়েল। এজন্য ইসরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে।
শুক্রবার (৭ জুন) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর চত্বরে আয়োজিত খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজার শরণার্থী শিবির রাফায় ইসরায়েলি বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়। সমাবেশে শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় দিয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়।
মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, ইসরায়েল বিশ্ব মানবতার দুশমন, মুসলমানদের দুশমন। এ নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতার কারণে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরায়েল একদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবিলম্বে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। গাজায় গণহত্যা ও দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে। ইসরায়েলি পণ্য শুধু বয়কট নয়, তা ব্যবহার করা মুসলমানদের জন্য হারাম হবে। ইসরায়েলকে যারা সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে আমরা তাদের পণ্যও বয়কটের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পাশে সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
সংগঠনের ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হকের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, কেন্দ্রীয় যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, শ্রমিক মজলিস সহসভাপতি আমীর আলী হাওলাদার, ছাত্র মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নূর মোহাম্মদ।
নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, মুহাদ্দিস শেখ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ডা. আবদুর রাজ্জাক, সহপ্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, সহদপ্তর সম্পাদক ইসলাম, শায়খুল ইসলাম, এনামুল হক হাসান, হুমায়ুন কবির আযাদ, মুন্সী মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সেলিম হোসাইন, কাউসার আহমদ সোহাইল, এবিএম শহিদুল ইসলাম, এনায়েত রাব্বি একরাম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের প্রশিক্ষণ সম্পাদক কেএম ইমরান হোসাইন, শ্রমিক মজলিসের সহসাধারণ সম্পাদক এইচএম এরশাদ, মহানগর উত্তরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান তোহা, যুব মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জামিরুল ইসলাম, উত্তরের সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ সালমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন