কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের কাছে ঋণ চেয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরোনো ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরোনো ছবি

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের কাছে ঋণ চাওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় সংসদে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. হামিদুল হক খন্দকার তিস্তার উন্নয়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বৈদেশিক সাহায্য অনুসন্ধান কমিটির ৫১তম সভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের স্বার্থে সহজ শর্তের ঋণ পেতে চীন সরকারকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের তিস্তা নদী পাড়ের মানুষের দুঃখ লাঘবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় সমীক্ষা সম্পন্ন করে প্রায় ৮ হাজার ২১০ কোটি টাকার পিডিপিপি ২০২০ সালের আগস্টে ইআরডিতে দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও পিডিপিপি এ বিষয়ে চীন সরকার একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন গত বছরের ৫ মার্চে ইআরডিতে প্রেরণ করে। উক্ত প্রতিবেদনে বড় আকারের ভূমি উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং নৌ-চলাচল ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়ে অধিকতর বিশ্লেষণ না থাকা এবং বড় আকারের বিনিয়োগ বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, চীন সরকার প্রকল্পটি পর্যায়ভিত্তিক বাস্তবায়নের নিমিত্ত আরও বিশদ সমীক্ষার বিষয়ে পরামর্শ দেয়। পাওয়ার চায়না কর্তৃপক্ষ চীন সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক গত বছরের ২৭ আগস্টে ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট সংশোধনের প্রস্তাব বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাঠিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এ সময় আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানসহ ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামি মাওলানা তাজউদ্দীন, মো. হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি আছে।

তিনি বলেন, মতিঝিল থানার মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে মোট ৫২ আসামির বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল হয়। রায় ঘোষণার আগে অভিযোগপত্রের ৫২ আসামির মধ্যে তিনজনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন। বিচারে ৪৯ আসামির সাজা হয়, যার মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ আসামির মধ্যে ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাভিশনকে হারিয়ে সেমিফাইনালে কালবেলা

রূপলাল হত্যার আসামি গ্রেপ্তার

আজ থেকে বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকে সরাসরি গ্রাহকসেবা 

বিপিএলে বাড়তে পারে আরও এক দল, আলোচনায় নতুন নাম

‘১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে’

নিজের চেহারা নিয়ে যা বললেন ধানুশ

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশুকে গাভি উপহার

এক পদের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২ পদে শিক্ষক নিয়োগ

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

দেবের সঙ্গে রোম্যান্সে নজর কেড়েছেন জ্যোতির্ময়ী

১০

আটটির মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধ থামিয়েছি : ট্রাম্প

১১

বরিশালের এক নেত্রীকে সুসংবাদ দিল বিএনপি

১২

ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা, গণপিটুনিতে নিহত ১

১৩

প্রসূতির মৃত্যু, পালিয়ে গেলেন চিকিৎসক-নার্স

১৪

টাইপকাস্ট হতে চান না তৃপ্তি

১৫

আয়ারল্যান্ড সিরিজ মিস করবেন তারকা ক্রিকেটার!

১৬

ফাতিমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজয়

১৭

পদ্মার চরে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা

১৮

জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১৯

ভেনেজুয়েলাকে কেন্দ্র করে নতুন অভিযানে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২০
X