বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হিমালয়ের দুর্গম ফার্চামো চূড়ায় বাংলাদেশ

হিমালয়ের দুর্গম ফার্চামো চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা হাতে অভিযাত্রীরা। ছবি : সংগৃহীত
হিমালয়ের দুর্গম ফার্চামো চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা হাতে অভিযাত্রীরা। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্লাব বিএমটিসির দুই অভিযাত্রী এম এ মুহিত ও কাজী বিপ্লব হিমালয়ের ২০ হাজার ৩০০ ফুট উঁচু দুর্গম চূড়া ফার্চামোতে আরোহণ করেছেন। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ফার্চামো পর্বত চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেন তারা। দলের আরেক সদস্য নুরুননাহার নিম্নি অসুস্থতাজনিত কারণে সামিট সম্পন্ন করতে পারেননি।

অভিযানের দলনেতা এম এ মুহিত বলেন, ‘২৬ অক্টোবর আমরা রামেছাপ এয়ারপোর্ট থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে বিমানে চড়ি। ওই দিনই আমরা পৌঁছাই এভারেস্ট অঞ্চলের প্রবেশ দ্বার খ্যাত হিলারি তেনজিং এয়ারপোর্টে। যেটি একই সঙ্গে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক বিমানবন্দর হিসেবেও কুখ্যাত। ওই দিন আমরা ট্রেকিং শুরু করি। বিকেলে পৌঁছাই মঞ্জো। ২৭ তারিখ আমরা যাই নামচে বাজার। ২৮ তারিখ ছিল বিশ্রাম। ২৯ তারিখ পৌঁছাই থামে। ৩০ রেস্ট ডে ছিল। ৩১ তারিখ থ্যাংবো। ১ নভেম্বর আমরা ৪ হাজার ৮০০ মিটার উচুঁ বেসক্যাম্প পৌঁছাই। ২ তারিখ তারিখ আমরা ৫ হাজার ৭০০ মিটার উঁচু তাশি ফুক হাইক্যাম্পে যাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাইক্যাম্প থেকে ১০০ মিটার নিচে দলের এক সদস্য নিম্নির শরীর খারাপ লাগা শুরু হয়। প্রধান শেরপা দাওয়া তেনজিং তাকে নিয়ে ফিরে যান। চিরিং ওয়াংচু শেরপা, ফুর কাঞ্চা শেরপা আমাদের সঙ্গে হাই ক্যাম্পে যান। হাইক্যাম্প পৌঁছাতে দুপুর হয়ে যায়। দিবাগত রাতে অর্থাৎ ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় হেডটর্চের আলোয় আমরা চূড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আধা ঘণ্টা পরে ক্র্যাম্পন পয়েন্টে পৌঁছি। মেইন রোপে দেড় ঘণ্টা থাকি। তাশি লাপচা পাসকে ডানে আমরা এগিয়ে যেতে থাকি। দিগন্তে ভোরের লাল আভা দেখার সময় ফ্রিক্সড রোপে আমরা জুমার লাগিয়ে আরোহণ শুরু করি। তিনটি কঠিন জায়গায় ১০০ মিটার দড়ি লাগানো ছিল। সে জায়গাগুলো ৮০ থেকে ৯০ ডিগ্রি খাড়া ছিল। ৬টার দিকে জুমার শুরু করি। সকাল ৯টার দিকে সামিটে পৌঁছি। আমরা উড়িয়ে দেই বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। পা রাখার আগেই প্রচণ্ড বাতাস শুরু হয়। চূড়ায় ১৫ মিনিটের মতো ছিলাম। মনে হচ্ছিল সব জমে যাবে। হাইক্যাম্পে আসতে আসতে পৌনে ১১টা বেজে যায়। ওই দিনই বেসক্যাম্প হয়ে বিকেল ৫টার দিকে থ্যাংবো চলে আসি।’

এর আগে বাংলাদেশের পর্বতারোহী দল গত ২৪ অক্টোবর নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। ২০ হাজার ৩০০ ফুট উঁচু ‘ফার্চামো’ পর্বত শিখর এভারেস্টের দক্ষিণ-পশ্চিমে নেপালের রোলওয়ালিং হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত। এ অভিযানের দল নেতা এম এ মুহিত দুবার এভারেস্ট আরোহণ করেছেন।

‘ফার্চামো’ পর্বতশিখর অভিযানটি পরিচালনা করছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব। স্পন্সর করছে ইসপাহানি টি লিমিটেড। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড ২০% ছাড়ে অভিযাত্রীদের ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা বিমান টিকেট দিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় নেত্রকোনা মুক্ত দিবস উদযাপন

এনসিপির প্রথম ধাপের মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা কাল

যুদ্ধবিমান ইউরোফাইটার টাইফুনের অনন্য যেসব শক্তিমত্তা

যাত্রীদের সুসংবাদ দিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ

ব্যাংক কর্মীদের উৎসাহ বোনাস নিয়ে নতুন নির্দেশনা

গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতার খোঁজ নিলেন জামায়াত নেতারা

শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

চিকিৎসাধীন অবস্থায় চবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

‘বিএনপির নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে টাকা ফেরত দিতেই হবে’

ময়লার গাড়িতে সরকারি ওষুধ পাচারের সময় দুই কর্মী আটক

১০

রাশিয়ায় সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, নিহত সব আরোহী

১১

শারীরিক প্রতিবন্ধী আলিফের পাশে চট্টগ্রামের ডিসি

১২

‘ইউরোফাইটার টাইফুন’ যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

১৩

মসজিদের ভেতর বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১৪

বহিষ্কৃতদের প্রত্যাবর্তনে ছন্দে ফিরছে সিলেট বিএনপি

১৫

অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা কলেজের বাস চলাচল বন্ধ

১৬

বিসিএস পরীক্ষার নম্বর বণ্টনে পরিবর্তন

১৭

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন

১৮

৩ শর্তে জাতীয় সরকার গঠন করতে চান জামায়াত আমির

১৯

খুলনা-২ / বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার মাস পেরোলেও ঐক্যবদ্ধ প্রচারকাজ শুরু হয়নি

২০
X