টোকিওর ১৫টি অভিজাত হোটেলকে রুম ভাড়া সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে জাপানের ফেয়ার ট্রেড কমিশন (জেএফটিসি)। তারা জানিয়েছে, এসব তথ্য বিনিময় অ্যান্টি-মোনোপলি আইন লঙ্ঘনের শামিল হতে পারে।
জেএফটিসি এক বিবৃতিতে জানায়, ইম্পেরিয়াল হোটেল ও নিউ ওতানিসহ শহরের শীর্ষ হোটেলগুলো নিয়মিত বৈঠকে মিলিত হচ্ছিল। এসব বৈঠকে তারা রুমের দখল হার, গড় ভাড়া, রুমপ্রতি আয়, আগাম বুকিং এবং ভবিষ্যতের ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান করছিল।
কমিশনের মতে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড বাণিজ্যে অযৌক্তিক সীমাবদ্ধতা তৈরি করতে পারে, যা জাপানের প্রতিযোগিতা আইনে নিষিদ্ধ। প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে সতর্ক করে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিশন আরও জানায়, কার্টেল ও বিড-রিগিংয়ের মতো কৌশলও এই ধরনের বেআইনি সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে।
জাপানে বর্তমানে পর্যটক সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি শ্রম ঘাটতি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে হোটেল ভাড়াও বেড়ে গেছে। গবেষণা সংস্থা ‘টোকিও শোকো রিসার্চ’ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাধারণ মানের হোটেলের গড় রুম ভাড়া ছিল ১৬ হাজার ২৮৯ ইয়েন (প্রায় ১১০ ডলার), যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। কোভিড মহামারির সময় এই ভাড়া ছিল ৮ হাজার ১৭১ ইয়েন।
মন্তব্য করুন