কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শবেবরাতে করণীয় ও বর্জনসমূহ

শবেবরাতের আমলসমুহ
শবেবরাতে আমল । ছবি : সংগৃহীত

শবেবরাত মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাত। শবেবরাত শব্দটি ফারসি শব্দ থেকে এসেছে। শব মানে রজনী বা রাত আর বরাত অর্থ মুক্তি, অর্থাৎ মুক্তির রজনী।

শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা শবেবরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। এ রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবেও পরিচিত।

শবেবরাত এক মহিমান্বিত রাত। এই রাতের ১৩টি নাম রয়েছে। নামের আধিক্য এর মাহাত্ম্য প্রমাণ করে। বারাআত থেকে বরাত। বারাআত অর্থ মুক্তি। আল্লাহতায়ালা এ রাতে ইমানদার বান্দাদের গুনাহ থেকে মুক্ত করেন। এ ছাড়া এ রাতকে দুআর রাত, ভাগ্য রজনী, বরকতময় রাত, নিসুফু শাবান, শাবান মাসের মধ্য রজনী, শাফাআতের রাত, ক্ষমার রাত, জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত, জীবন রাত্রি, তকদিরের রাত ও অন্য আরও অনেক নামে ভূষিত করা হয়েছে।

মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।

হজরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহতাআলা শাবানের অর্ধ রাতে (শাবানের ১৪ তারিখ রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।

নবিজি ইরশাদ করেন, তোমরা ১৪ শাবানের রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলায় রোজা রাখ। কারণ এ দিন সূর্য অস্ত যাওয়ার পর আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে এসে ডেকে ডেকে বলেন, আছো কোনো ক্ষমাপ্রার্থী? আমি তাকে ক্ষমা করব। আছো কোনো রিজিক প্রত্যাশী? আমি রিজিক দেব। এভাবে সুবহে সাদিক পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা মানুষের প্রয়োজনের কথা বলে ডাকতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-১৩৮৪)

শবেবরাতে নবিজির নামাজ প্রসঙ্গে হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, নবিজি নামাজে দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘসময় সেজদা করলেন। আমি ভাবলাম, তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। তখন তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। (শুআবুল ইমান, বায়হাকী ৩/৩৮২-৩৬৮)

শবেবরাতে যেসব কাজ করা উচিত নয়

মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী বলেন, আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ইবাদত-বন্দেগি বাদ দিয়ে খামাখা ঘোরাঘুরি করা, অযাচিত আনন্দ-উল্লাস করা, বেহুদা কথাবার্তা ও বেপরোয়া আচরণ করা, অন্য কারও ইবাদতের বা ঘুমের বিঘ্ন ঘটানো, হালুয়া-রুটি বা খাবারদাবারের পেছনে বেশি সময় নষ্ট করা, ইবাদতে উদাসীনতা সমীচীন নয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা 

২০২৪ সালের বন্যা স্বাভাবিক ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা 

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আনসার উদ্দিন 

হলুদ ছেড়ে লাল জার্সি? প্রশ্নের মুখে ব্রাজিল!

টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

যে কারণে আলিয়ার সঙ্গে অভিনয়ে আগ্রহী ইমরান হাশমি

আশুলিয়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৬ সদস্য আটক

ঢাবির বাসে হামলা, ৫ জন গ্রেপ্তার 

চীন সফর করেছেন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা

টানা ৫ দিন সারা দেশে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

১০

আপিল বিভাগের রায় / সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও পাবেন উচ্চতর গ্রেড

১১

চট্টগ্রামে টাইগারদের দাপট, বৃষ্টির আগেই বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণে ম্যাচ!

১২

আনিসুল, সালমান ও চৌধুরী মামুন ফের রিমান্ডে 

১৩

অল্পতেই পার পেলেন রুডিগার!

১৪

রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার রায় ৮ মে 

১৫

চলন্ত ট্রেনের দরজার বাইরে মাথা বের করার চরম পরিণতি

১৬

কাশ্মীরের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বললেন কারাবন্দি ইমরান খান

১৭

ব্রাজিলের কোচ হওয়া হচ্ছে না আনচেলত্তির

১৮

ধানের ট্রাকে চাঁদাবাজি, বিএনপি-যুবদলের ৩ নেতা আটক

১৯

হাজিদের সুবিধা দেওয়ার নামে প্রতারণা, সতর্ক করল মক্কা পুলিশ

২০
X