কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মৃত্যুর পর ৪০ দিন পর্যন্ত রুহ বাড়িতে ঘোরাঘুরি করে?

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৃত্যু জীবনের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। জন্ম নিলে একদিন মারা যেতে হবে। মায়াঘেরা দুনিয়ার রূপ-রঙ ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমাতে হবে- যেখানে কেউ কারও বন্ধু হবে না, হবে না শত্রুও। নিজের দায়িত্ব নিজেই নিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে রাব্বুল আলামিন মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল সম্পূর্ণভাবেই কিয়ামতের দিন পাবে।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৮৫, সুরা আনকাবুত : ৫৭)

সুরা নাহলে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহূর্তও বিলম্বিত কিংবা ত্বরান্বিত করতে পারবে না।’ (আয়াত ৬১)

সুরা আবাসাতে রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘সেদিন মানুষ নিজের ভাই, নিজের মা, নিজের পিতা, নিজের স্ত্রী ও সন্তানাদি থেকে পালাবে। তাদের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর সেদিন এমন সময় এসে পড়বে, সে নিজেকে ছাড়া আর কারও প্রতি লক্ষ্য করার মতো অবস্থা থাকবে না।’ ( আয়াত ৩৪-৩৭)

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি মহানবীকে (সা.) বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন মানুষ উলঙ্গ হয়ে খতনাহীন অবস্থায় কবর থেকে হাশরের ময়দানে এসে দাঁড়াবে। এ কথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! নারী-পুরুষ সবাই কি উলঙ্গ থাকবে? এমন হলে তো খুবই লজ্জার ব্যাপার। উত্তরে হুজুর (সা.) বললেন, ‘হে আয়েশা, সে দিনের পরিস্থিতি এত ভয়ঙ্কর হবে, কেউ কারও দিকে তাকানোর কথা কল্পনাও করতে পারবে না।’ (বোখারি ও মুসলিম)

‘মৃত্যু নিশ্চিত’ এ কথা সব ধর্মের মানুষই বিশ্বাস করেন। তবে অনেকে মনে করেন, ‘মানুষ মৃত্যুর পর ৪০ দিন পর্যন্ত তার রুহ বাড়িতে ঘোরাঘুরি করে। আর ৪০ দিন পর প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুহ বাড়িতে আসে এবং শুক্রবার জুমার পর চলে যায়। এ সময় রুহটি সবার কাছে দোয়া চায়। দোয়া না পেলে নিজেই বদদোয়া করে চলে যায়।’

এই কথাগুলো কি আসলেই সঠিক? ইসলামি শরিয়তে এর কোনো ভিত্তি আছে? এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, এ কথাগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তার দাবি, এরকম আরও অনেক কুসংস্কারাচ্ছন কথা বলে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়।

তিনি বলেন, ইসলামে এরকম কোনো বিশ্বাস নেই যে, মৃত্যুর পর মরা মানুষের রুহ আবার আসে।

আহমাদুল্লাহ বলেন, মৃত্যুর পর মানুষ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সে জান্নাতি হলে সেই নেয়ামত ভোগ করে। আর জাহান্নামি হলে শাস্তি ভোগ করে। এ অবস্থায় তার রুহ দুনিয়াতে এসে আপনাদের কাছে সালাম চাইবে, দোয়া চাইবে- এমন কোনো সুযোগ নেই। কারণ, মৃতদের ফেরত আসার কোনো সুযোগ নেই। তাই এসব কুসংস্কারাচ্ছন কথাবার্তা বিশ্বাস করা যাবে না।

যারা এমনটা বিশ্বাস করবে, তাদের ইমান ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আবারও বাড়ল

বিপিএলের মাঝপথে বাংলাদেশ ছাড়বেন যেসব পাকিস্তানি ক্রিকেটার

ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ানো প্রকৃতির অলংকার তিলাইয়া

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী 

খালেদা জিয়ার আসনে বিএনপি নেতার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

মর্মান্তিকভাবে তিন সন্তানসহ কোচের মৃত্যু

রুয়েটে হাদির নামে আবাসিক হলের নামকরণের দাবি

সড়কে প্রাণ গেল ২ জনের

ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে নতুন তথ্য আবহাওয়া অফিসের

বৃষ্টি ও শীতে দুর্ভোগে ফিলিস্তিনিরা

১০

মুস্তাফিজের বিকল্প খুঁজে নিল ফ্র্যাঞ্চাইজি

১১

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১২

সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি নিহত

১৩

বড় চমক নিয়ে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল ভারত

১৪

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক

১৫

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে : সামান্তা শারমিন 

১৬

হিন্দু-মুসলিম বড় বিষয় নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি : সেলিমুজ্জামান

১৭

সিরিয়ার শ্রমবাজার এখন কেমন?

১৮

ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে চাকরির সুযোগ

১৯

পশ্চিমা চাপকে ‘সরাসরি লড়াই’ বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

২০
X