

বনি ইসরায়েলের জন্য শনিবারে মাছ শিকার করা নিষেধ ছিল। তারা সমুদ্র-উপকূলের অধিবাসী হওয়াতে মাছ শিকার করা ছিল তাদের প্রিয় কাজ। এদিকে অন্যান্য দিনের তুলনায় শনিবারে সমুদ্রকূলে মাছ আসত বেশি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই তারা মাছ শিকার করতে থাকে। এতে আল্লাহ ওদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন এবং তাদের ওপর বানর ও শুকরে রূপান্তরিত হওয়ার আজাব নেমে আসে। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা জন্মেছে, বানর জাতি সেই বিকৃত বনি ইসরায়েলেরই বংশধর। চলুন তাহলে জেনে নিই, আসলেই এই ধারণা সত্য কি না।
এ বিষয়ে রাজধানীর জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুস সালামের ফতোয়া বিভাগীয় প্রধান মুফতি আব্দুর রহমান হোসাইনী কালবেলাকে বলেন, বানর জাতি সেই বিকৃত বনি ইসরায়েলেরই বংশধর—এ ধারণা ঠিক নয়। বরং মানুষ ও বানর আল্লাহ তায়ালার ভিন্ন দুটি সৃষ্টি। বানর মানুষ ছিল না এবং মানুষও বানর ছিল না। এরা সম্পূর্ণ পৃথক দুটি প্রজাতি। আল্লাহ তায়ালা আজাব স্বরূপ কিছু মানুষকে বানর-শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছিলেন। রূপান্তুরিত বানর পৃথিবীতে বংশবিস্তার করেনি। সেই অবস্থাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং বানর স্বতন্ত্র একটি প্রজাতি; বিকৃত ও রূপান্তরিত কোনো প্রজাতি নয়।
তিনি জানান, সহিহ মুসলিমে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, জনৈক ব্যক্তি একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, আল্লাহর রাসুল! আমাদের যুগের বানর ও শুকরগুলো কি সেই রূপান্তরিত সম্প্রদায়? নবীজি (সা.) উত্তরে বললেন, আল্লাহ তায়ালা যখন কোনো সম্প্রদায়ের আকৃতি রূপান্তরিত করেন তখন তাদের বংশ বিস্তার হয় না। অর্থাৎ তারা রূপান্তরিত অবস্থায়ই ধ্বংস হয়ে যায়। তিনি আরও বললেন, বানর ও শুকর তো পৃথিবীতে আগেও ছিল। (মুসলিম : ২৬৬৩)
মন্তব্য করুন