১৭ বছরের পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ার। তার মধ্যে ১৫ বছর ধরেই জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন পেসার জাহানারা আলম। তার সঙ্গে জাতীয় দলে খেলাদের মধ্যে অনেকেই এখন আর পেশাদার ক্রিকেটেও নেই। অথচ তিনি ঠিকই জাতীয় দলে পারফর্ম করতে দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। মাঝে দেড় বছরের বেশি সময় ছিলেন দলের বাইরেও। কিন্তু পরিশ্রম আর উদ্যমের মাধ্যমে আবারও জাতীয় দলে ফিরেছেন তিনি।
এই পথচলার শক্তি নাকি তার ফিটনেস সচেতনতা। নিজেকে ‘ফিটনেস-ফ্রিক’ দাবি করেন জাহানারা। সেই ফিটনেসের জন্যই পেশাদার ক্রিকেটে টিকে আছেন বলে মনে করেন তিনি। এবার জাতীয় দলের হয়ে এশিয়া কাপের মঞ্চে খেলতে যাবেন ডানহাতি এ পেসার। শিরোপা জয়ের পাশাপাশি নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত তিনি। বিসিবির মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন তিনি।
গত বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন জাহানারা। ফিটনেস ও পারফরম্যান্সের ঘাটতি থেকেই অভিজ্ঞ এই পেসারকে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। এরপর থেকে নিজেকে ফিরে পেতে প্রচুর পরিশ্রম করে গেছেন জাহানারা। বাংলাদেশ নারী দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম ফিটনেস সচেতন তিনি।
ফেরার গল্প বলতে গিয়ে তাই ফিটনেস সচেতনাকেই সামনে আনলেন জাহানারা, ‘দীর্ঘ এই এক বছরের ৯ মাস আমি মাস্কো একাডেমিতে অনুশীলন করেছি। সালাউদ্দিন স্যারসহ ওখানে যারা কোচিং স্টাফ ছিলেন, তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমার সঙ্গে এবং চেষ্টা করেছেন আমি যেন ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি।’
কিছুদিন আগে শেষ হওয়া মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি জাহানারা। দলে না থাকলেও ফেরার আত্মবিশ্বাস ঠিকই ছিল তার, ‘প্রতিটি সময় চেষ্টা করেছি নিজেকে তৈরি করে রাখার জন্য, যেন নারী দলের যখনই প্রয়োজন হবে, আমি যেন প্রস্তুত অবস্থায় থাকতে পারি।’
মন্তব্য করুন