বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি অপ্রত্যাশিত মোড়—আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ হারলো লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল। বুধবার রাতে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজয় ঘটে টাইগারদের। সিরিজের ফলাফল ২-১, এবং সেটাও আমিরাতের পক্ষে।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ মাত্র ১৬২ রান তুলতেই গুটিয়ে যায়। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান আমিরাত দল ৭ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে যায় জয়ের দোরগোড়ায়। এমন হারের পর ম্যাচশেষে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে স্পষ্ট আত্মসমালোচনার সুরেই কথা বললেন লিটন দাস।
‘অবশ্যই আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না,’—খোলামেলা স্বীকারোক্তি লিটনের, ‘এখানে এলে সবসময় ম্যাচ জেতার লক্ষ্য নিয়ে নামা উচিত, কিন্তু ক্রিকেট জীবনের অংশ। প্রতিপক্ষও মাঝেমধ্যে অসাধারণ খেলবে। আজকে তাই আমিরাতকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
ব্যাটিং ব্যর্থতাই যে হারের মূল কারণ, সেটা খোলাসা করলেন লিটন নিজেই। উইকেট ও কন্ডিশন বিবেচনায় টাইগারদের রানটা আরও বড় হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
‘ব্যাটিংয়ে আমরা কিছু ভুল করেছি। এই উইকেটে আমরা যতটা রান আশা করেছিলাম, তা পাইনি।’
‘পরে শিশিরের কারণে বল করতেও কঠিন হয়ে উঠেছিল,’—যোগ করেন টাইগার অধিনায়ক।
তবে হতাশার মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিক দেখছেন লিটন। তরুণদের নিয়ে আশাবাদী তিনি—‘পারভেজ ইমন, তানজিদ তামিম ভালো সূচনা দিয়েছে। কয়েকটি ম্যাচে জাকের ও হৃদয়ও রান করেছে। বোলিংয়েও মাঝের ওভারে কেউ কেউ ভালো করেছে। আমাদের আরও শিখতে হবে, সেই শিক্ষা ম্যাচে কাজে লাগাতে হবে।’
প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতের প্রশংসা করতেও পিছপা হননি লিটন দাস। ‘তারা সত্যিই দুর্দান্ত খেলেছে। শুরুতে ভালো বল করায় আমরা ছন্দ হারিয়ে ফেলি। ব্যাটিংয়ে শিশির কিছুটা সাহায্য করলেও, তাদের সাহসিকতা ও স্থিরতাই আলাদা করে বলার মতো।’
এই সিরিজ হার বাংলাদেশের জন্য শুধুই লজ্জার নয়, বরং সতর্কবার্তা—বিশ্ব ক্রিকেটে ছোট দল বলে কাউকে হালকাভাবে নেওয়ার দিন শেষ। এখন প্রয়োজন আত্মসমালোচনা থেকে শিখে মাঠে বাস্তবায়নের। না হলে সামনে আরও কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।
মন্তব্য করুন