পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর শিরোপা জিতে বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কার অর্জন করেছে লাহোর কালান্দার্স। রোববার রাতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসকে ৪ বল হাতে রেখেই হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় পিএসএল শিরোপা নিশ্চিত করে তারা।
জয়ের পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন লাহোর কালান্দার্স পেয়েছে ৫ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি টাকা। অপরদিকে, রানারআপ কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস পেয়েছে ২ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
তবে দলীয় সাফল্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে একাধিক ক্রিকেটারও পেয়েছেন পুরস্কার ও নগদ অর্থ।
পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছেন কোয়েটার তরুণ ডানহাতি ব্যাটার হাসান নেওয়াজ। ৩৯৯ রান করে তিনি হয়েছেন টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড়, যার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ৩০ লাখ পাকিস্তানি রুপি এবং একটি বিলাসবহুল বিওয়াইডি সিল মডেলের ইলেকট্রিক গাড়ি।
এখানেই থেমে থাকেনি তার সাফল্য। সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবেও তিনি পেয়েছেন আরও ৩৫ লাখ রুপি, অর্থাৎ ব্যক্তিগতভাবে সর্বোচ্চ আর্থিক পুরস্কার গেছে এই উদীয়মান ব্যাটারের ঘরে।
চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদি টুর্নামেন্টের সেরা বোলার নির্বাচিত হয়েছেন, যার পুরস্কার ৩৫ লাখ রুপি। ফাইনালে ব্যাটে-বলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সিকান্দার রাজা হয়েছেন সেরা অলরাউন্ডার, তিনিও পেয়েছেন সমপরিমাণ অর্থ।
সেরা ফিল্ডার নির্বাচিত হয়েছেন লাহোরের আবদুস সামাদ, তিনিও পেয়েছেন ৩৫ লাখ রুপি। সেরা উইকেটকিপার হয়েছেন মোহাম্মদ হারিস, আর সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলা তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। দুজনই পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ৩৫ লাখ রুপি করে।
প্রথমে ব্যাট করে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০১ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লাহোর কালান্দার্স জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে।
ম্যাচে কুসল পেরেরা ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন এবং সিকান্দার রাজা শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলে জয় নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশের তরুণ লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন লাহোরের হয়ে একটি উইকেট নেন। দলে থাকা অন্য দুই বাংলাদেশি—সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন না একাদশে।
এই শিরোপা জয়ের মাধ্যমে লাহোর কালান্দার্স পিএসএলে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো। এর আগে কেবল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডই তিনবার শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছিল।
লাহোরে ম্যাচ শেষে উদযাপন ছিল চোখধাঁধানো। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে শিরোপা হাতে তুলে নেন অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদি।
মন্তব্য করুন