একসময় মনে হচ্ছিল, তার ফিরে আসার সব দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পরও ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার ৮ বছর পর ফিরে তাকালেন ভাগ্যবিধাতা! দুর্ভাগা এই ক্রিকেটার পেলেন নতুন লাইফলাইন। সুযোগ পেয়ে জ্বলে উঠতেও সময় নিলেন না। ইংল্যান্ড লায়নসের বিপক্ষে প্রথম চার দিনের ম্যাচে করেছেন ঝোড়ো ডাবল সেঞ্চুরি। ২৮১ বলে ২৬ চার এক ছক্কায় করেন ২০৪ রান। ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে নায়ারকে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রাখতে যথেষ্ট এই আগ্রাসী ইনিংসটি।
প্রতিভা থাকা স্বত্তেও প্রাপ্য সুযোগ এতদিন পাননি নায়ার। কোহলি-রোহিত যুগ শেষ হতেই তার দিকে ফিরে তাকালেন ক্রিকেট ঈশ্বর। কয়েকবছর আগে করুণ নায়ার নিজেই সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ক্রিকেট ঈশ্বর যেন তাকে আর একটা সুযোগ দেয়। এরপর ২০২৪-২৫ মরশুমে রঞ্জি ট্রফি থেকে বিজয় হাজারে ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর করুণ ফের ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে।
প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও নায়ার ছিলেন উপেক্ষিত। বীরেন্দ্র শেবাগের পর দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেও নির্বাচকদের মন গলাতে পারেননি। চেন্নাইতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ ৩০৩* রানের ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি দলের বাইরে চলে যান।
৮ বছর পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে তার ইংলিশদের বিপক্ষেই। সদ্য সমাপ্ত রঞ্জি ট্রফিতে ৫৩.৯৩ গড়ে ৮৬৩ রান করেন করুণ, যার মধ্যে চারটি সেঞ্চুরি ছিল। বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৭৭৯ রানসহ পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন। এছাড়াও কাউন্টি ক্রিকেটেও তিনি সম্প্রতি খেলেছেন। তাই বিরাট-রোহিতের অনুপস্থিতিতে করুণের ব্যাটের ওপর বড় ভরসা ভারতীয়দের।
২০১৬-১৭ মৌসুমে ভারতের হয়ে ৬টি টেস্ট খেলেন নায়ার। বাদ পড়ার আগে তার ব্যাটিং এভারেজ ছিল ৬৬.৩৩। অথচ ত্রিশোর্ধ্ব এভারেজ নিয়েই বাংলাদেশ দলে জায়গা পাকা করে অপরিহার্য সদস্য হিসেবে দিব্যি খেলে যাচ্ছেন শান্ত-লিটনরা!
মন্তব্য করুন