কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনের শেষ সেশনে চাপের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া দলটি প্রথম সেশনে ধৈর্যের পরীক্ষা দিলেও দ্বিতীয় সেশনে ৯০ মিনিট বৃষ্টির বাধা এবং শ্রীলঙ্কান বোলারদের বিচক্ষণ আক্রমণে হারিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি উইকেট। চা-বিরতির সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪৯.৩ ওভারে ১৪৪ রান ৫ উইকেটে।
ম্যাচটিতে দলের ব্যাটিং সূচনা ভালো ছিল না। প্রথম টেস্টে ব্যর্থতার পরও দ্বিতীয় টেস্টে দলে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক আবারও হতাশ করেছেন; ইনিংসের চতুর্থ ওভারে কোনো রান না করেই ফিরেছেন। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন সাদমান ইসলাম, করেন ৪৬ রান (৭ চার)। কিন্তু ইনিংস জমাতে থাকা এই ওপেনারকেও থামতে হয়। শান্ত ও সাদমান—দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট বাংলাদেশ হারায় লাঞ্চ বিরতির পরই।
এরপর বৃষ্টির কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টার খেলা বন্ধ থাকে। খেলা ফের শুরু হলে মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাসের অভিজ্ঞতায় একটু ধাতস্থ হয় টাইগাররা। এই জুটিতে আসে ৬৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি, যেখানে কিছুটা ভাগ্যও সহায় ছিল মুশফিকের। তাকে একবার ডিপ মিড উইকেটে ফেল করেছিলেন উদারা, আবার বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে একবার বেরিয়ে যাওয়া বল ফসকে যায় স্লিপে।
তবে ভাগ্য সহায় হয়নি লিটন দাসের, ক্যাচ দিয়ে আউট হন অভিষিক্ত সোনাল দিনুশার বলে (৩৪ রান, ২ চার, ১ ছয়)। ডেবিউ ম্যাচে এই তরুণ বোলারের ২.৩ ওভারেই একটি মেডেন ও উইকেট তুলে নেওয়া ছিল প্রভাব বিস্তারকারী।
এই মুহূর্তে ৩৪ রানে অপরাজিত মুশফিকুর রহিমই বাংলাদেশের একমাত্র বড় আশা। তার সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ রানের খাতা খুলেছেন মাত্র (২*) ।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে বিশ্ব ফার্নান্দো, আসিথা ফার্নান্দো, থারিন্দু রত্নায়েকে, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও দিনুশা একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন। বিশেষ করে স্পিনারদের কিছু বল এখন থেকেই টার্ন করতে শুরু করেছে, যা শেষ সেশনে বাংলাদেশের জন্য আরও কঠিন পরীক্ষা হয়ে উঠতে পারে।
শেষ সেশনে কী বাংলাদেশ মুশফিক-মিরাজ জুটিতে স্থিতি আনতে পারবে, নাকি লঙ্কান স্পিন ঘূর্ণিতে আরও ধস নামবে?
মন্তব্য করুন