এশিয়া কাপের আবুধাবি অধ্যায়ে যেন দুঃস্বপ্নের মতো শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনারকে হারালেন শূন্য রানেই, এরপর অল্প সময়েই টপ অর্ডারের ধস—তখন মনে হচ্ছিল, বড় কোনো সংগ্রহ ধরা দিবে না। তবে জাকের আলী আর শামীম হোসেনের ব্যাটে ভর করেই ঘুরে দাঁড়াল টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান তুলেছে লাল-সবুজরা।
টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। শুরুতেই সেটির সুফল পেয়ে যায় তারা। নুয়ান তুষারা এবং চামিরার আগুন ঝরানো স্পেলে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান ও পারভেজ ইমন—দুজনেরই রান শূন্য। এরপর দ্রুত রান আউট হয়ে যান তাওহীদ হৃদয় (৮)। ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা অবস্থায় পড়ে বাংলাদেশ।
ক্যাপ্টেন লিটন দাস কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও (২৬ বলে ২৮), বেশি দূর যেতে পারেননি। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ঘূর্ণিতেই বিদায় নেন তিনি এবং শেখ মেহেদী হাসান (৯)। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানো অবস্থায় ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার মতোই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু সেখান থেকেই দৃঢ়তা দেখান জাকের আলী ও শামীম হোসেন। ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়েন অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটি। জাকের অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৪১ রানে, অপর পাশে শামীম খেলেন ঝলমলে ৩৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস। দুজনের ঠান্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে সম্মানজনক সংগ্রহ দাঁড় করাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন হাসারাঙ্গা, নেন ২ উইকেট। এছাড়া তুষারা ও চামিরা একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এখন লঙ্কানদের সামনে লক্ষ্য ১৪০ রান। গ্রুপ ‘বি’-এর সমীকরণে এ ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেবে কোন দল এগিয়ে যাবে পরবর্তী ধাপে।
মন্তব্য করুন